ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঝোপের ভেতর কে ফেলে গেল শিশুটিকে!

প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার

ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় লোকজন ঝোপের ভেতর শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা ঝোপের ভেতরে গিয়ে দেখেন কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় দেড় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামে মুটের পুকুরপাড়ের ঝোপের ভেতর থেকে ওই কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে শিশুটির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে খরব দেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমায়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনো শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বাবা-মা বা অন্য কেউ দূর থেকে এসে ওই স্থানে ফেলে গেছেন।

ওই গ্রামের বৃদ্ধা সাবজান বেগম বলেন, শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আমি গোসল করিয়েছি। একজন মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক নাজমুল হোসাইন বলেন, ওই ঝোপের মধ্যে মশার কামড়ে ও দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারণে শিশুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে দেখতে যান সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী সরকার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ।

ইউএনও বলেন, আমরা শিশুটিকে চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি। হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠলে ও এই সময়ের মধ্যে শিশুটির কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলে প্রক্রিয়াগতভাবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে গাজীপুরে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে।

ডব্লিউএন