৭৩ বলে ১৬১ রানের রেকর্ড
প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার
একসময় অ্যাডাম লাইথের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়ে ছিল প্রশ্ন। ইংল্যান্ডের টেস্ট ওপেনার হওয়ার দিকেই ছিল মনোযোগ তার। এখন টি-টোয়েন্টিতেও নিয়মিত জ্বলে ওঠে তার ব্যাট।
অ্যাডাম লাইথ ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে বৃহস্পতিবার ৭৩ বলে ১৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। ইংল্যান্ডে এখন এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান টি-টোয়েন্টিতে।
লাইথের রেকর্ডে তার দলও রেকর্ড স্কোর পায়। হেডিংলিতে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ইয়র্কশায়ার ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ২৬০ রান। ইংল্যান্ডে এটি সবচেয়ে বড় দলীয় ইনিংস।
বেন স্যান্ডারসনকে প্রথম ওভারেই ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন লাইথ। আর পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ২১ বলে। পরের পঞ্চাশে লেগেছে ২৮ বল। রিচার্ড গ্লিসনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৯ বলে ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি।
লাইথ ছুটছিলেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের পথে। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের চতুর্থ বলে সীমানায় ধরা পড়েন ১৬১ রানে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লাইথের চেয়ে বড় ইনিংস আছে দু’জনের। আইপিএলে ক্রিস গেইলের ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫ আর জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৭১ বলে অপরাজিত ১৬২।
আগের রেকর্ড ছিল ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অপরাজিত ১৫৮। ইয়র্কশায়ারের ২৬০ রানের চেয়ে বড় দলীয় ইনিংসও সব মিলিয়ে আছে দুটি। ২৬৩ রানের বিশ্বরেকর্ড যৌথভাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও অস্ট্রেলিয়ার।
৪ ওভারে ৭৭ রান দিয়েছেন নর্দাম্পটনশায়ারের স্যান্ডারসন। টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান গুণেছেন সারমাদ আনোয়ার। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে ৮১ রান দিয়েছিলেন তিনি।
এ রানে লাইথের ইনিংসে ৭টি ছক্কার পাশাপাশি ছিল ২০টি চার। স্পর্শ করেছেন তিনি আহমেদ শেহজাদের বিশ্বরেকর্ড। ২০১২ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংসের পথে শেহজাদ মেরেছিলেন ২০টি চার।
২৯ বছর বয়সী লাইথ ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৭টি টেস্ট। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের অবসরের পর অ্যালেস্টার কুকের ১২ জন ওপেনিং সঙ্গীর একজন ছিলেন তিনি। সাতটি টেস্ট খেলে একটি সেঞ্চুরি করলেও অর্ধশতকও ছিল না। ২০১৫ সালে শুরু হয়ে ওই বছরেই থমকে গেছে বাঁহাতি ওপেনারের টেস্ট ক্যারিয়ার।
আর/ডব্লিউএন