ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

গাজরের যত গুনাগুণ

প্রকাশিত : ০৯:১৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৪৫ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

শীতকালীন সবজি হলেও গাজর প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে ভরা। যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ডি, ই, কে, বি১ এবং ভিটামিন বি৬। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, অর্গানিক সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ।

গাজরের ক্ষারীয় উপাদান রক্তের অম্লতা ও সুগারের সামঞ্জস্য ঠিক রাখে। রক্তে বিষক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট হয় ব্রণ। গাজরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

গাজরের এন্টি-অক্সিজেন্ট বিভিন্ন রোগ সংক্রামক থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতিকে নিরাপদে রাখে।

আসুন জেনে নেই গাজরের কিছু পুষ্টি গুণ -

১. প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটি করে গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হয়।

২. গাজর মানবদেহের রক্ত কণিকা উৎপাদনে খুবই কার্যকর ভুমিকা রাখে।

৩. গাজরের জুস নিয়মিত পান করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

৪. গাজরের সারবস্তু রক্তের জলীয় ভাগ এবং কোলস্টেরলের মাত্রা কম রাখে।

৫. গাজরের জুস কফ, সাইনোসাইটিস, কণ্ঠনালীতে শ্লেষ্মাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।

৬. গাজরের জুস নিয়মিত পানে শারীরিক অবসন্নতা দূর হয়।

৭. গাজর শরীরে বিভিন্ন প্রজ্বলন ভাব, বাত রোগ ও গেঁটেবাত থেকে রক্ষা করে।

৮. প্রতিদিন গাজরের জুস পান করলে সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবন রক্ষা করে।

৯. গাজরের পুষ্টিকর উপাদান চক্ষু সম্বন্ধীয় ক্রিয়া-পদ্ধতিকে উৎকৃষ্ট অবস্থায় রাখে।

১০. গাজরের জুসের পুষ্টিকর উপাদান কিডনিকে পরিষ্কার ও পরিশ্রাবণ করতে সাহায্য করে।

১১. গাজরে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বককে কোমল রাখে, ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করে।

গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের কয়েক মাস নিয়মিত গাজরের জুস পান করলে বাচ্চার জন্ডিসের সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।

কেআই/ডব্লিউএন