ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চিরনিদ্রায় শায়িত নায়করাজ

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:৪১ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৭ বুধবার

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাকের তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাটসহ রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক উজ্জ্বল, শাকিব খান, ফেরদৌস, জায়েদ খান।
 
দাফনের পর সম্রাট বলেন, আপনারা আমাদের পাশে সব সময় ছিলেন। সেজন্য ধন্যবাদ। আমরা মেজ ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। তিনি এসেছেন। আমরা তিন ভাই মিলে দাফন করেছি। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

শাকিব খান বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তিনি আমাকে ছেলের মতো দেখতেন। আদর করতেন। বিভিন্ন সময় নানা বিষয়ে পরামর্শ দিতেন, উপদেশ দিতেন।’

এর আগে দু’দফায় জানাজা শেষে মঙ্গলবার তাকে দাফন করার কথা থাকলেও নায়করাজের মেজ ছেলে বাপ্পি কানাডা থেকে দেশে ফিরতে দেরি করায় দাফন করা হয়নি। আজ ভোরেই বাপ্পি দেশে ফিরেছেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে এ কিংবদন্তি অভিনেতা মারা যান। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এফডিসিতে তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রথম জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। সেখান স্বজনরা দেখার পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোকাহত ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীরা। রাজ্জাকের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালন করছে এফডিসি।

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু। রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী ও ভাইবোন।