পুলিশ কর্মকর্তার সন্তানের কিডনির জন্য শিশু অপহরণ!
প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৯ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৭ শুক্রবার
পুলিশ কর্মকর্তার ছেলের দেহে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য সাত বছরের শিশু আরজিনাকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা থেকে অপহরণ করা হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আবু বক্কর, তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগম ও বোন আয়েশা বেগমের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, অপহৃত হওয়ার ১৭ দিন পর শিশুটিকে ওই এসআইয়ের রংপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করে আনেন উলিপুরের এক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, শিশুটিকে রংপুরে যে ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য, সেই ক্লিনিকের একজন ডাক্তারের সূত্রে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরজিনার স্বজনদের অভিযোগ, আয়শা বেগম নামের একজন নারী শিশুটিকে কৌশলে নিয়ে যান রংপুরে এবং ভাই এসআই আবু বক্করের ভাড়া বাসায় ওঠেন। স্বজনদের আরো জানান, এসআইয়ের ছেলের দুটি কিডনি নষ্ট এবং আরজিনার কিডনি তাকে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এর প্রস্তুতি হিসেবেই ক্লিনিকে আরজিনাকে নেওয়া হয় রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার জন্য। তার মাথার চুলও কামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তিনি আরজিনার সঙ্গে কথা বলেন এবং বুঝতে পারেন তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
সূত্র মতে, শিশুটি কোন এলাকার তা জানতে পেরে ওই চিকিৎসকই উলিপুরের ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে রাতে চেয়ারম্যান পুলিশের এসআইয়ের বাসায় গিয়ে শিশুটিকে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আক্কাছ আলী জানান, আমরা গরিব মানুষ। ঢাকায় থাইক্যা শ্রম বিক্রি করে খাই। মেয়েকে লেখাপড়া করাব বলে তার নানার বাড়িতে রাখি। শয়তানরা আমার নিষ্পাপ বাচ্চাকে মাইরা ফালানোর চেষ্টা করছিল। শিশুটির নানা বলেছেন, ডাক্তার বিষয়টি না জানালে তো আমরা কিছুই জানতাম না।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্লা আল সাইদ অপহরণ মামলা দায়ের হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরকে/ডব্লিউএন