ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ক্যান্সার চিকিৎসায় সাফল্য

রোগীর কোষ দিয়েই তৈরি হবে ক্যান্সার-কিলার

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

সিএআরটি বা কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসিপ্টর থেরাপি নামে নতুন এক চিকিৎসাপদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই পদ্ধতিতে রোগীর দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম পুনঃগঠনের মাধ্যমে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষকে আক্রমণ করে ক্যান্সার নিরাময়ের চিকিৎসা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এটিকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেছে, এ পদ্ধতি ক্যান্সারের চিকিৎসা ‘নতুন পর্যায়ে প্রবশ’ করল।


নতুন এ চিকিৎসাপদ্ধতির নাম দেয়া হয়েছে ‘জীবত ওষুধ’ বা ‘লিভিং ড্রাগ’। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রচলিত পদ্ধতিগুলো যেমন- অস্ত্রোপচার বা কেমোথেরাপির মত নয়। প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হবে জীবন্ত এই ওষুধ। রোগীর রক্তের শ্বেত কণিকা সংগ্রহ করে তাঁর জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে তা পুনরায় রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হবে। জীবন্ত ওষুধ তখন ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ সনাক্ত তার সঙ্গে ফাইট দিবে। শুধু তাই নয় এই ক্যান্সার কিলার রোগীর শরীরে বিস্তার ঘটাবে এবং রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।  


ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন এ পদ্ধতি সর্বপ্রথম ফিলাডেলফিয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিশুর ওপর সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন ডা. স্টিফেন গ্রুপ। তিনি এ পদ্ধতিকে ‘অতিশয় উত্তেজনাপূর্ণ’ উল্লেখ করে বলেন, আমরা এমনটা আগে কখনো দেখিনি। রোগী প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি ছিল। কিন্তু শিশুটিকে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়ার পর ৫ বছরেরও বেশি সময় সে ক্যান্সার মুক্ত হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের গবেষক ড. স্কট গটিলেব বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় আমরা নতুন দিগন্তে প্রবেশ করলাম। এ পদ্ধতিতে আমরা রোগীর কোষকে প্নুনঃগঠনের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে নির্মূল করতে সক্ষম হব।


নোভারটিস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিমরিয়া’ নামে এই জীবন্ত ওষুধ বাজারজাত করছে। যেটি কিনতে খরচ পরবে ৪ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। এখন পর্যন্ত ৬৩ জন রোগীর ওপর এ ওষুধের প্রয়োগ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮৩শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে। তবে এ ওষুধেরও কিছু প্বার্শপ্রতিকিয়া আছে। এ ওষুধ গ্রহণে সাইটোকাইন নির্গমনের লক্ষণ পাওয়া যায় যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি এ বিষয়টিকে অন্য ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সূত্র : বিবিসি।