ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

বন্যাদুর্গত, রোহিঙ্গা ও দেশের কল্যাণে দোয়া

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই শনিবার সকালে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দুর্যোগ থেকে মুক্তি, শান্তি আর কল্যাণ কামনায় স্রষ্টার কাছে হাত তুলেছেন সবাই। জিলহ্জ মাসের দশম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব দেশে কোরবানির ঈদ নামেই পরিচিত। এদিন পশু কোরবানীর মাধ্যমে কলুষতাকে বিসর্জন দেওয়া ইসলামের শিক্ষা।

বরাবরের মতো এবারও দেশের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণির মানুষ।

আর গতবছর কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর এবার ঈদের নামাজ ঘিরেই কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করে আইন শৃংখলা বাহিনী। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঢুকতে হয়েছে মুসল্লিদের।

ঢাকায় বৃষ্টি শুরুর আগেই এ ঈদগাহে শুরু হয় ঈদুল আজহার  জামাত। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের ইমামতিতে নামাজ শেষে শুরু হয় মোনাজাত।

মোনাজাতে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ থেকে দেশ ও জাতির মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। বিশেষ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সুরক্ষা এবং মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের মুসলমানকে জুলুম-অত্যাচার থেকে মুক্ত করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার দোয়া করেন ইমাম। জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।

জাতীয় ঈদগাহের নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই  রাজধানীতে শুরু হয় বৃষ্টি।

এদিকে বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি সকাল ৮টা ও পরেরটি ৯টায়। এছাড়া সকাল ৮টায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মেইন গেটসংলগ্ন মাঠ ও শহীদুল্লাহ হল লনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল জামে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৪০৯টি স্থানে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়ে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় জাতীয় ঈদগাহর প্রধান জামাতসহ ঈদুল আজহার ২২৯টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮০টি।

এবারও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন ও বাস চলাচল করে। দেশের সকল স্থানেই ঈদ জামাত শেষে সবাই বস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানিতে।

আর/ডব্লিউএন