রোহিঙ্গা ইস্যূতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছে : সু চি
প্রকাশিত : ০২:২৫ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এতদিন মন্তব্য না করার জন্য এবং কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়ে আসছিলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের অবিসংবাদিত এই নেতা। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান চলতি সংকটে সু চি’কে টেলিফোন করলে তাদের দুজনের মধ্যেকার কথায় সু চি এমন মন্তব্য করেন বলে জানায় সু চি’র দফতরের এক মুখপাত্র। খবর বিবিসি’র।
সু চি’র দফতরের ওই মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপে সু চি বলেন, তাঁর সরকার রাখাইনের সব নাগরিকের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও ছবিকে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্যের হিমশৈল’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সু চি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সার্থেই এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি ছড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক বিব্রৃতিতে জানানো হয়, রাখাইন রাজ্যের সব নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং সবার নিরাপত্তয়া নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপই নিচ্ছে তাঁর সরকার। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র না থাকলে কী অবস্থা হয় তা আমরা কম বেশি ভালো করে সবাই জানি। তাই আমাদের দেশের সব নাগরিক যেন তাদের অধিকারগুলো পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু রাজনৈতিক অধিকারই নয়। বরং সামাজিক ও মানবিক অধিকার। সন্ত্রাসীদের সার্থ রক্ষার্থে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা ছবি ও তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্টকে জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এতদিন চুপ থাকার কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দিত হন এই নেতা। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাথে সু চি’র এমন মন্তব্যের কারনেও কম নিন্দিত হচ্ছেন না তিনি। চলমান সংকটে একটি কার্যকরী ভূমিকার নেবার জন্য পুরো বিশ্ব যখন তাঁর দিয়ে মুখিয়ে আছে তখন রোহিঙ্গা বিরোধি এমন মন্তব্য বিশ্লেষকদের আশাহত করল।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে পুলিশের ২৫টি পোস্টে একযোগে হামলার পর মিয়ানমার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১হাজার মানুষকে হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি থেকে ছেড়ে বাংলাদেশ এসে আশ্রয় ন্যায়।
//এস এইচ//