ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া নজিরবিহীন: রিজভী

প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়ানো শুরুর প্রক্রিয়াকে নজিরবিহীন ও গণবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এখন লুটের খাত। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে।


বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দাবি করেন।


রিজভী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম অতিশয় চড়া, এর ওপর আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমার কথা। কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন ও গণবিরোধী। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি (ফার্নেস) তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হলে খরচ আরও কমবে।


রিজভী দাবি করেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে কুইক রেন্টলের বিদ্যুৎ। এসব প্রকল্পের পেছনে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়স্বজন। তাঁদের লুটপাটের আরও বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

সরকারের কূটনৈতিক দুর্বলতা
রিজভী অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। যার কারণে রোহিঙ্গা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানান।
//এআর