ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

না ফেরার দেশে বীর মুক্তিযোদ্বা আকরাম খাঁন দুলাল

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার

নিউটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্বা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম  উওর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, আকরাম খান দুলাল (৬২) আর নেই। বুধবার ভোর ৪:৩৮টায় থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ( ইন্নালিল্লাহে- ওয়া-ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

আগামিকাল বৃহস্পতিবার সকাল  ১০টায় তাঁর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা গুলশানে আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

তাঁর মৃত্যুতে সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন-"একজন বীরমুক্তিযোদ্বা হিসেবে তিনি ছিলেন দেশ ও দশের অকৃ্ত্রিম বন্ধু। সন্দ্বীপে রাজনৈতিক দুঃসময়ে তিনি ছিলেন নেতা কর্মীদের আস্থার জায়গা। এছাড়াও, আমার সাথে একটা সুন্দর সম্পর্ক ছিল।তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বি এ বলেন- `` মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সম্মুখ বীরযোদ্ধাকে হারাল বাংলাদেশ। শুধু আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে নয়, তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য সব সময় বটবৃক্ষ ছিলেন। যেকোনো সংকটে তিনি আমার পরামর্শে নেতা কর্মীদের সহযোগিতা করেছেন। কখনো নেতৃত্বের মোহে কাজ করে নাম চাননি,মানুষের জন্য অকাতরে দিয়ে গেছেন। এছাড়াও তিনি একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সফল সংগঠক ছিলেন। সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন নিভৃতে। মানবিক কাজে সন্দ্বীপের মানুষের জন্য তিনি একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন।সন্দ্বীপে ক্রিয়াঙ্গনে খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য নিজ অর্থায়নে টুর্নামেন্ট চালু করেছিলেন । আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’’

পৌর মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু বলেন, ``সন্দ্বীপের মানুষের কাছে তিনি একজন বিশিষ্ট হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। এছাড়া ২০০১ সালের জোট সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে নেতা কর্মী অভিভাবকের ন্যায় দেখভাল করেছেন। শিল্প কারখানা করে সন্দ্বীপের অসংখ্য মানুষের  কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। তিনি আমাকে সন্তানের মতো জানতেন। এইভাবে চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।’’

তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত মুখ। উপজেলা সন্দ্বীপে তাঁর বদান্যতার খ্যাতি রয়েছে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি সহধর্মিণী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।

ইআর/ডব্লিউএন