ঈদের আনন্দ যেন বান্দরবানে
প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা থাকে বছরের বিভিন্ন সময়। তবে পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে ঈদের সময় বাড়তি চাপ থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো এবং জেলার আশপাশের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টহাউজ এবং গেস্টহাউজগুলোও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজানো হয়।
হয়রানি বন্ধে পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। এবার ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হলেও পর্যটকদের কমতি নেই এখনও। প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। এরই মধ্যে জেলা সদরের বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্টহাউস ভরে গেছে তাদের পদচারণায়। মোটেল মালিকরা জানান, এখানে পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকবে সপ্তাহজুড়ে।
বান্দরবানে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। পাহাড়ের ঝর্ণা, প্রাকৃতিক লেক, ঝুলন্ত সেতু, বাদুর গুহা, দেবতা পাহাড়, আলীর সুরঙ্গ এবং সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গসহ রয়েছে অসংখ্য পাহাড়। বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় এবং স্বপ্নীল নীলগিরি পর্যটন স্পটে গিয়ে মুগ্ধ পর্যটকরা।
এছাড়া জেলা সদরের বালাঘাটায় নির্মিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণ জাদি পর্যটনের ক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আর পাহাড়ে বসবাসরত মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, খেয়াং, পাঙ্খো, চাকমা, চাক এবং লুসাইসহ ১৩টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বসবাসের বৈচিত্র্যময় জীবনচিত্র পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওয়া।
এখানকার রিসোর্ট, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের ঢল নামে। পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার শতভাগ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এরই মধ্যে আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্টহাউজগুলো মোটামুটি ভরপুর থাকছে সব সময়।
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছেড়ে যায়। রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল মোড় খেকে এসব গাড়িগুলো পাবেন। অথবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি বান্দরবানের গাড়ি পাওয়া যায়।
আর/ডব্লিউএন