ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিএনপি এখন মাইনকা চিপায়: কাদের

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:২২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না নেওয়া প্রশ্নে বিএনপি উভয় সঙ্কটে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে বিএনপি এখন উভয় সঙ্কটে, ওই যে হায়দারের (হায়দার আলী) একটা গান আছে না… ‘মাইনকা চিপা’, বিএনপি এখন মাইনকা চিপায় পড়ে গেছে। একদিকে নির্বাচনে গিয়ে হেরে যাওয়ার ভয় আছে, আবার নির্বাচনে না গিয়ে যদি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন উত্তর পরিস্থিতির মত বোমা সন্ত্রাস শুরু করে সেটাও জনগণ প্রত্যাখান করবে। এজন্য বলছি মাইনকা চিপায় আছে।


তিনি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী আমেজ শুরু হওয়া ভাল, নির্বাচনী আমেজ বা সুবাতাস যখন বইবে সেটা গণগন্ত্রের জন্য সুখবর, খারাপ কিছু না।


নির্বাচনকালীন সময়ে সহায়ক সরকারের দাবি তুললেও বিষয়টির উপর অনড় না থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ খোলা রাখতে চায় বিএনপি।


এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ নেতা কাদের বলেন, সরকার ব্যবস্থা সংবিধানেই আছে, এ নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।   


নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির মুসলিম নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে শুক্রবার এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।


দলটির এ কর্মসূচির বিষয়ে কাদের বলেন, আমি একটু উদ্বিগ্ন, তারা সভা সমাবেশ ডাক দিলে নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, দায়টা চাপায় আওয়ামী লীগের উপর, সরকারের উপর। রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক দেখতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় কিনা, সেটা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত।


সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত বাংলাদেশে আসছে, তাতে সরকার উদ্বিগ্ন। এই স্রোতের সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র আসছে কি না, তা আরও বেশি উদ্বেগের।


তিনি বলেন, সরকার মিয়ানমারের পুশ ইন নীতির প্রতিবাদ করছে। তবে যারা আসছে, তাদের প্রতি যেন মানবিক আচরণ দেখানো হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ এসেছে। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হচ্ছে। জাতিসংঘকেও উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে, যেন যারা এসেছে, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
//এআর