ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভবন ভাঙতে আরও এক বছর চায় বিজিএমইএ

প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার

আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর ১৬ তলা ভবন ভেঙে ফেলতে আরও  এক বছর  সময়  চেয়েছে তৈরি  পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএবিজিএমই ‘র নতুন ভবন নির্মাণে এই সময় লাগবে বলে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান

প্রসঙ্গত, এর আগে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে পোশাক রপ্তানিকারকদের ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত ওই ভবন হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করার পর আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। বিজিএমইএ ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আদালত তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলেছিল। ১১ সেপ্টেম্বর সেই সময়সীমা শেষ হবার কথা থাকলেও তার আগেই বিজিএমইএ আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করল।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নতুন ভবন সম্পন্ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আমরা চলে যাব। তাই আমরা মহামান্য আদালতের কাছে আরও একটি বছর চেয়েছি। ব্যবসায়িরা আশা করছেন, সামগ্রিক অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান বিবেচনা করে মহামান্য আদালত এই আবেদন বিবেচনা করবেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবন না ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএ ৩ হাজার ২০০ কারখানাসহ ৪৪ লাখ শ্রমিকের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। এই বিপুল পরিমান কারখানা ও শ্রমিকের দাপ্তরিক কাজ হয় এই ভবনে। বিজিএমইএ বেসরকারি সংগঠন হলেও অনেক সরকারি কাজও করে। এখানে বিজিএমইএ থেকে সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে ইউডি, ইউপি, মেশিনারি আমদানি প্রত্যায়নপত্র জারি করা হয়ে থাকে।

সিদ্দিকুর বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নাম্বার সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমি বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার টাকা পরিশোধ করে সেই জমির দলিল বুঝে পেয়েছেন। আমরা আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে নতুন ভবন তৈরি হবে। ভবন তৈরি হলেই আমরা চলে যাব। এ কারণে আদালতের কাছে এক বছর সময় আমরা চাই।

সংবাদ সম্মেলনে বিজেএমইএ সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

//আর//এআর