ধামরাইয়ে এক নারীর দুই সংসার, গর্ভের সন্তান নিয়ে বির্তক
প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার
ঢাকার ধামরাইয়ে এক তরুণী একসঙ্গে দুই স্বামীর সংসার করতে গিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন। একই সঙ্গে ওই তরুণীর গর্ভের সন্তানকে দুই স্বামী নিজ সন্তান বলে দাবি করলে শুরু হয় বাক যুদ্ধ। ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামবাসী সামাজিকভাবে তাদের পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ওই তরুণীর সঙ্গে একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
ওই তরুণী আবারও ২০১৭ সালের ২৮ জুন ঢাকার নোটারি পাবলিক আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা মো. সুমন আহম্মেদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা আশুলিয়ার লাল পাহাড় এলাকায় বসবাস করছিলেন। এর ফাঁকে তিনি আগের স্বামীর সঙ্গেও মেলামেশা করতে থাকেন।
ঈদুল আজহার কয়েক সপ্তাহ আগে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে আগের স্বামীর ঘরে ফিরে যান। এর পরদিন পরের স্বামীও সেখানে যান এবং স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নিজের বলে দাবি করেন। এ সময় ওই তরুণীর আগের স্বামীও একই দাবি করেন।
একই সঙ্গে দুই স্বামী স্ত্রী ও গর্ভের সন্তান দাবি করলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে দুই স্বামী স্ত্রীর বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। পরে এলাকাবাসী তাদের পরিবারকেই একঘরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকায় আসেন ওই তরুণীর দুই স্বামী। এ সময় দুজনেই স্ত্রী ও গর্ভের সন্তান নিয়ে নিজ এলাকায় যেতে চাইলে ফের নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মাতব্বর মো. আব্দুল মজিদ ও মো. রফিকুল ইসলাম মিলন মাস্টার গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হানে। এ কারণে ওই তিন পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আর/ডব্লিউএন