ডিজেল ও পেট্রল-চালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করছে চীন
প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০২:৩৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীন ডিজেল ও পেট্রল-চালিত সব ধরনের গাড়ি ও ভ্যানের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। সে দেশের উপ শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক গবেষণাও তারা শুরু করে দিয়েছেন - তবে কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে তা এখনও কিছু স্থির হয়নি। খবর বিবিসির।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া-কে শিন গুয়োবিন বলেছেন, `এই পদক্ষেপের ফলে আমাদের দেশের গাড়ি তৈরি শিল্পে নি:সন্দেহে বিরাট পরিবর্তন আসবে।’
গত বছরেও চীন ২ কোটি ৮০ লক্ষ গাড়ি তৈরি করেছে - যা সারা পৃথিবীর মোট গাড়ি উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
দূষণ ও কার্বন এমিশন রোখার চেষ্টায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তারা ২০৪০ সালের মধ্যে সব নতুন ডিজেল ও পেট্রল গাড়ি নিষিদ্ধ করতে চায়।
চীনা মালিকানাধীন গাড়ি কোম্পানি ভলভো জুলাই মাসে ঘোষণা করেছে, ২০১৯ সাল থেকে তাদের সব নতুন মডেলে একটি বিদ্যুৎচালিত মোটর থাকবে।
ভলভো-র চীনা মালিক সংস্থা গিলি ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ ইলেকট্রিক কার বিক্রিরও পরিকল্পনা করেছে।
রেনোঁ-নিসান, ফোর্ড ও জেনারেল মোটর্সের বিশ্বের প্রথম সারির গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই চীনে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির প্রচেষ্টায় যুক্ত আছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন যে সব বিধিনিষেধ চালু হতে যাচ্ছে, তার আগে আকর্ষণীয় চীনা বাজারের একটা অংশ দখল করার জন্য গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই মরিয়া।
চীন চাইছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের দেশে যত গাড়ি বিক্রি হবে তার এক-পঞ্চমাংই যেন হয় ইলেকট্রিক ব্যাটারি কার বা প্লাগ-ইন হাইব্রিড কার।
এই মুহুর্তে আমেরিকার পরেই দুনিয়ার যে দেশটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তেল ব্যবহার করে - সেটি হল চীন।
//এআর