একাত্তরের ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের লালখান পরিনত হয় মৃত্যু পুরীতে
প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৮:৩২ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার
৩০ মার্চ ১৯৭১ বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার প্রতিরোধ যেমন ছড়িয়ে পড়তে থাকে, তেমনই পুরো বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাক বাহিনীর বর্বরতা। হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা-অগ্নিসংযোগে। চট্টগ্রামের লালখান বাজারে পাকিস্তানি বাহিনী ও বিহারী-রাজাকাররা মিলে শুরু করে গণ হত্যা। লালখান পরিণত হয় মৃত্যু পুরীতে।
চৈত্রের ১৬ আর ইংরেজি ক্যালেন্ডারে মার্চের ৩০। লালখান বাজারে ওয়াসার মোড়ের কল হতে পানি দেওয়া হচ্ছে- এমন প্রতারণামূলক গুজব রটিয়ে জড়ো করা হয় বাঙালীদের। এরপর হানাদাররা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় প্রায় আড়াই হাজার বাঙালীকে। সেই সাথে বাঙালী দেখা মাত্রই গুলি চলে। এমনকি রাতেও বাড়িতে বাড়িতে চলে মানুষ হত্যার তান্ডব।
চট্টগ্রামের মতো তখন সারাদেশেই একই চিত্র। ৩০ মার্চ এমন প্রতিরোধ দেখা গেছে গাংনী উপজেলা আর নাটোরের লালপুরেও। ময়নার যুদ্ধখ্যাত সেই রণে বিলুপ্ত হয় ২৫ নম্বর পাঞ্জাব রেজিমেন্ট। এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথমবারের মতো তাদের পার্লামেন্টে জানালেন, বাঙালীদের পাশে দাড়ানোার কথা।
চট্ট্রগ্রাম বেতারের কালুরঘাট ট্রান্সমিটারটি পাকবাহিনীর বোমারু বিমানের আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। ঢাকার চকবাজার থেকে শুরু করে রাজশাহীর গোপালপুর, নোয়াখালীতে যখন যুদ্ধ চলছে তখন পাকবাহিনী দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহের পথে পালাতে থাকে।
এভাবেই চূড়ান্ত স্বাধীনতার পথে এগুতে থাকে বাঙালী, রচিত হতে থাকে লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস বাংলার লাল সবুজের পতাকা।