বাঘ সুরক্ষার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের
প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বুধবার
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমছে আশংকাজনক হারে। বনবিভাগের জরিপে দেখা গেছে, গেলো বারো বছরে ৪শ ৪০ থেকে কমে ১শ ৬টি বাঘ অবশিষ্ট আছে। বাঘ কমে যাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্য সৃষ্ট কারণও দায়ি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জীববৈচিত্র সংরক্ষণে তাইতো বাঘ সুরক্ষার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
ঝড়-জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে তাল মিলিয়েই চলতে হয় উপকূলকে। আর এই বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন, যার স্থলভাগ চার হাজার ১৪৩ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু নানা প্রজাতির বিচিত্র প্রাণীকূল বিশেষ করে বাঘের এই অভয়ারণেও যেনো নিরাপদ নয় বনের রাজা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, পরিবেশ বিপর্যয়, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, খাদ্যের অভাব সহ সঠিক তত্বাবধানের অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে বাঘ।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিলো ৩৫০ টি। ৮৪ তে ৪শ ৩০ থেকে ৪৫০, ৯২ তে ৩৫৯ এবং ২০০৪ সালে বনবিভাগের জরিপে পাওয়া যায় ৪ শ ৪০ টি বাঘ। ভয়াবহ তথ্য হলো, ক্যামেরা ট্র্যাপিং, পাগমার্ক, রেডিও টেলিমেট্রি এবং পদচিহ্ন পদ্ধতির জরিপে সর্বশেষ এর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১০৬-এ।
রাজধানীর ডেইলি স্টার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয় বাঘ কমে যাওয়ার কারন।
বাঘের অস্তিত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে ইউএসএইড।
বাঘ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া, বাঘ সুরক্ষা কার্যক্রমে দেশের ১শটি স্থানে টাইগার ক্যারাভানের প্রদর্শনী করা হবে।