ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৩ ১৪৩১

রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়েছে সেনাবাহিনী, প্রমাণ আছে : অ্যামনেষ্টি

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীই পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি জানায়, এ বিষয়ে তাদের কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের স্যাটেলাইট থেকে তোলা অনেক ছবি বিশ্লেষণ করে অ্যামনেষ্টি জানায়, রাখাইনে গত তিন সপ্তাহে আশিটিরও বেশি স্থানে বিশাল এলাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অ্যামনেষ্টি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো এই কাজ করছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাখাইনে মিয়ানমার সরকারের পোড়ামাটি নীতির ওপর সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা পড়লে বেশ বিচলিত হতে হয়।

সংগঠনটির দাবি, স্যাটেলাইটে আগুন সনাক্ত করতে পারে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা গেছে, গত ২৫শে আগস্টের পর থেকে মোট ৮০টি জায়গায় ব্যাপক মাত্রায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এমন সংঘবদ্ধ দলগুলো একসাথে এই জ্বালাও পোড়াও চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে এবং পলায়নপর মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।

অ্যামনেস্টির একজন কর্মকর্তা তারানা হাসান জানান, এটা পরিষ্কার যে সুপরিকল্পিতভাবে এ সহিংসতা চালানো হচ্ছে। অ্যামনেস্টি জানায়, যেসব জায়গায় আগুন দেয়া হয়েছে সেই জায়গাগুলোর আগের চার বছরের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে তারা কোন অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখতে পাননি। বেছে বেছে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতেই আগুন দেয়া হয়েছে।

অ্যামনেস্টির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব গ্রামে রোহিঙ্গা এবং রাখাইনরা পাশাপাশি বাস করে, সেখানে রাখাইন বাড়িগুলো আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছে।

এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আজ আরো একদফা বেড়েছে। লন্ডন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্মী বাহিনীর সহিংসতা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে।

টিলারসন বলেছেন, আমরা বুঝতে পেরেছি অং সান সুচি যে কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। আমরা সবাই জানি,  জাতিগত পরিচয়ে বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে আচরণ কী হবে ।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাই সমর্থন করে। তিনি বলেন, এই সহিংসতা অবশ্যই থামাতে হবে, মানুষের ওপর এই নির্যাতন থামাতেই হবে।

 

//আর//এআর