আইনগত দূর্বলতা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাকে রিজার্ভ চুরির কারন মনে করছেন সিনেট কমিটি
প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের আইনগত দূর্বলতার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাকে অন্যতম বড় কারন মনে করছে সিনেট কমিটি। যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, আইনী বাধ্যবাধকতার কারণেই অর্থ হস্তান্তর ঠেকানো যায়নি। তবে ব্যাংকের জবাবদিহিতায় সন্তুষ্ট নয় তদন্ত কমিটি। এদিকে ফিলরেম কোম্পানির বক্তব্যে অসংগতি তদন্তে নতুন মোড় সৃষ্টি করেছে।
তোপের মুখে ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি থেকে শুরু করে অর্থ উত্তোলন, রুপান্তর ও হস্তান্তরে আরসিবিসি ব্যাংকের বড় ধরনের গাফেলতি-ই উঠে এসেছে। আর এর জবাবদিহিতায় আইনগত দুর্বল দিক ছাড়া আর কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ- এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা।
সিনেট কমিটি বলছে, এতো বিশাল অংকের অর্থ ফিলিপাইনে এলো আর তা ক্যাসিনোতে চলে গেলো, তা নিয়ে মোটেই সতর্ক ছিলনা ব্যাংক। প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জ তান এর উত্তর দিলেও সন্তুষ্ট নয় সিনেটররা।
আরসিবিসির দাবি, সন্দেহজনক হলেও আদালতের নির্দেশ ছাড়া অর্থ ধরে রাখার কোনো অধিকার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নেই। তবে এ দাবি মানতে না-রাজ সিনেট কমিটি।
এদিকে রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমের বক্তব্যে অসংগতি খুঁজে পেয়েছে সিনেট কমিটি। শুনানিতে দুই বার দুই ধরণের তথ্য দিয়েছে ফিলরেম। এছাড়া চীনা ব্যবসায়ী কিম অংয়ের দেয়া তথ্যের সঙ্গে ফিলরেমের বক্তব্যের অসংগতি খুঁজে পেয়েছে সিনেট কমিটি।
সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখনও ৬৯ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে রয়েছে, যা উদ্ধার করা সম্ভব। তাই সবকিছুর পরও অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে আশাবাদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ।