ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

থাইরয়েড সমস্যার সাত লক্ষণ

প্রকাশিত : ০৬:৫৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি যা শরীরের মেটাবলিজম, হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, মস্তিষ্কের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড জটিলতায় কিডনি, লিভার, প্রজনন এমনকি মস্তিষ্কের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। অনেকসময় নিজেদের অসচেতনটা ও অবহেলার কারণে থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ পেলেও একে অতটা গুরত্ব দেইনা আমরা। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। এমন ৭টি লক্ষণ জানিয়েছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম।


*অল্পতেই কাজে ক্লান্তি চলে আসা, বিরক্তবোধ করা।
*স্বাভাবিক মানুষের হার্টবিট মিনিটে ৬০-১০০ পর্যন্ত হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যার কারণে এই রেট অনেক কম বা বেশি হতে পারে।
*অল্পদিনের মধ্যে শরীরে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসা।
*শরীরের ত্বকে শুষ্কভাব চলে আসা এবং নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া।
*বিভিন্ন তাপমাত্রার প্রতি সহনশীলতা কমে যাওয়া, তাপমাত্রা সামান্য কমলেই বেশি বেশি ঠাণ্ডা লাগা বা সামান্য বাড়লেই আসহ্য গরম লাগা এবং অতিরিক্ত ঘামা।
*গলার সামনে দিকে মাঝখানে (যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে) কোন ধরনের ফোলা ।
*প্রায়ই পাতলা পায়খানা বা কোষ্টকাঠিন্য হওয়া, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা খুব কম বা বেশি হওয়া
পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই থাইরয়েড সমস্যা সনাক্ত করে এর চিকিৎসা করা যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

থাইরয়েড কাজ কর্ম স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত ৩৫ বছর বয়স হলেই। আমেরিকান থাইরয়েড এসোসিয়েশনের পরামর্শ থাইরয়েড স্ক্রিনিং পূর্ণ বয়স্কদের শুরু করা উচিত ৩৫ বছর বয়স থেকেই। এরপর প্রতি পাঁচ বছরে একবার। রক্তের টি.এস.এইচ (TSH) মান ও প্রয়োজনে টি-৩ ও টি-৪ (T3 ও T4) মান। হাইপোথাইরয়েড হলে মূল থাইরয়েড হরমোন থাইরক্সন। থাইরক্সিনের সিনথেটিক রূপটিই সবচেয়ে ভালো। প্রাণীজাত থাইরক্সিন ব্যবহূত হত, তত নিরাপদ নয়।
 
হাইপারথাইরয়েড হলে নানা চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন- এন্টিথাইরয়েড ড্রাগ; থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের ক্ষমতা রোধ করা। প্রয়োজনে রেডিও একটিভ্ আয়োডিন, যা যেসব কোষ থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে এদের ধ্বংস করে, অথবা শল্য চিকিৎসা করে থাইরয়েড অপসারণ। চিকিৎসক সব দেখে চিকিৎসা দেবেন। থাইরয়েড রোগ চিকিত্সা বড় জরুরি। চিকিৎসা না হলে পরিনতিতে হয় দীর্ঘ মেয়াদী নানা জটিলতা। যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, অস্টিওপরোসিস, বন্ধাত্ব, মানসিক রোগ ও অকাল প্রসব।


//এআর