ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কর্মস্থলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

কর্মক্ষেত্রে যাদের বেশিরভাগ সময় কাটে চেয়ার-টেবিলে তাদের পিঠব্যথা বা চোখের রোগ হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বেশি দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। আর এর থেকে পরিত্রাণের রয়েছে উপায়।  


স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরন সম্পর্কে যা অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে কার্যকর।


চা ও কফি অতিরিক্ত নয়
অফিসে কাজ করার সময় অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা অনেক ক্ষতি ও অ্যাসিডিটির সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রধান কারণ হল চা বা কফি উচ্চ ক্যাফেইন সমৃদ্ধ যা গ্যাস্ট্রিক উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। তাই যতটা সম্ভব ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।


সকালের নাস্তা বাদ না দেওয়া
যারা অফিসে যান এবং ডেস্কে বসে কাজ করেন তাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করার প্রবণতা থাকে। এটা কেবল বাজে অভ্যাসই নয় বরং এটা ক্ষতিকারক। উচিত হচ্ছে সকালে ভারী নাশতা করা। দুপুরে কম খাওয়া।


চার ঘন্টা পর খাবার
চার ঘন্টার দীর্ঘ বিরতিতে খাবার খাওয়া হলে তা অ্যাসিডিটির সৃষ্টি করে। এর মূল কারণ হল দীর্ঘ বিরতিতে খাবার খাওয়া হলে খালি পেটে গ্যাস হয়। তাই সকালে নাস্তা করা আবশ্যক, বিশেষ করে যারা বসে কাজ করেন।


সঠিক দেহভঙ্গি
 হজম প্রক্রিয়া দেহভঙ্গির উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। খাওয়ার পর সোজা হয়ে বসুন। এটা অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়া কমায়। উঁচু হয়ে বসা কেবল খাবার হজমেই সাহায্য করে না পাশাপাশি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।


ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিন
ভাজা, ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার পেটে অ্যাসিড সৃষ্টি করে। যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের খাবার অফিসে থাকার সময় পরিপাকের ক্ষেত্রে অ্যাসিড সৃষ্টির পাশাপাশি হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই কাজ করার সময় হালকা মসলা ও কম তেলের তৈরি খাবার খাওয়া বেশি উপযোগী।


খাওয়ার পর পরই বসে না থাকা
খাওয়া শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ কাজে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। এটা খাবার হজমের ক্ষেত্রে ভালো নয়। এই সময় প্রোটিন পরিপাক হতে থাকে। তাই খাওয়া পর সামান্য হাঁটাচলা পরিপাকের পক্ষে বেশ ভালো।


ভারী খাবার না খাওয়া
 অফিসের দেওয়া খাবার সবারই বেশ পছন্দ। তাই বলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। আর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হলে তা বুক জ্বালাপোড়া ও অ্যাসিডের সৃষ্টি করে। গ্যাস্ট্রিক রস অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।  


অতিরিক্ত কোমল পানীয় না খাওয়া
 কোমল পানীয় বা কার্বনেইটেড পানীয়তে কার্বনেইটেড বুদবুদ থাকে। যা আমাদের অন্ত্রে প্রবেশের পর আরও বেড়ে যায়। তাই এগুলো খাওয়ার পরে অনেক বেশি পেট ভরা অনুভূত হয়। এই ধরনের পানীয় পাকস্থলীতে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টি করে ও গ্যাস নির্গত হয়। তাই ভারী খাবার ও কোমল পানীয় একসঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকর।
/এআর