1. প্রচ্ছদ
2. অর্থ-বাণিজ্য

অলাভজনক দেশের চিনিকলগুলোতে আপাতত নতুন জনবল নিয়োগ ও অতিরিক্ত ভাতা (ওভারটাইম) প্রদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

সোমবার রাজধানীর দিলকুশায় চিনি শিল্প ভবনে ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  

সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

শিল্পমন্ত্রী ১০টি চিনিকলের ব্যবস্থাপকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘চিনিকলগুলোতে যে জনবল রয়েছে, তা দিয়েই কাজ করতে হবে। আপাতত কোনো জনবল নিয়োগ দেয়া হবে না। যারা আছেন (পুরোনো) তাদের বেতন দিতেই সমস্যা হচ্ছে, এর মধ্যে নতুন লোকের নিয়োগ দিলে তাদের বেতন কে দেবে? তাই অলাভজনক চিনিশিল্পে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, অতিরিক্ত ভাতা (ওভারটাইম) প্রদান ইত্যাদি বন্ধ রাখতে হবে।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে চিনিকলগুলো। চিনিশিল্পের সঙ্গে ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবারসহ অনেক আখ চাষি জড়িত। এসব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্যে অলাভজনক চিনি শিল্পকে এখনও বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিএসএফআইসির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক বন্যায় আখ উৎপাদনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং আগামী রমজানে বাজারে নিরবচ্ছিন্ন চিনি সরবরাহ দিতে সরকার বিএসএফআইসির মাধ্যমে এক লাখ টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানির মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা চিনি শিল্পের উন্নয়নে কাজে লাগানোর তাগিদ দেন মন্ত্রী।

বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বর্তমান সরকার চিনিশিল্প লাভজনক করতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের মতো অন্য কারখানাগুলোতেও পণ্য বৈচিত্রকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে সব চিনিকলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিএসএফআইসি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মৌসুমে বিএসএফআইসি ৬৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এটি অর্জনের জন্য আখ চাষিদের পাশাপাশি চিনিকল এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ সকলকে আখ চাষে উৎসাহী করা হচ্ছে। এর ফলে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সম্ভব হবে বলে চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, বিএসএফআইসির তথ্য মতে দেশে মোট চিনিকল রয়েছে ১৫টি, প্রকৌশল কারখানা একটি এবং ডিস্টিলারি ইউনিট একটি।

ডব্লিউএন