গ্রামীণ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে এটুআই ও অক্সফাম
প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার
সকলের জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ ও মাথাপিছু রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রামীণ তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা উন্নয়নে ‘কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা’ কর্মসূচিত হাতে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম। সরকারের এ উদ্যোগ সহায়তা দেবে লন্ডন ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম।
এ লক্ষ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়স্থ এসএসএফ ব্রিফিং রুমে এটুআই প্রোগ্রামের সাথে অক্সফ্যাম বাংলাদেশ-এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং অক্সফাম বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এম বি আখতার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
এ সমঝোতা স্মারকের আওতায়, এটুআই প্রোগ্রাম ও অক্সফ্যাম যৌথভাবে হাজার গ্রামীণ তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে শিক্ষানবিশের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আত্ম-কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রশিক্ষণ করানো হবে। শিক্ষানবিশ কালে প্রশিক্ষণে একজন এ্যাপ্রেনটিস (শিক্ষানবিশ) কারখানায় সপ্তাহে ৫ দিন হাতে-কলমে কাজ শিখবে এবং একদিন তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।
এর ফলে কারখানা পরিবেশে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে, কারখানা ভীতি কমে আসবে এবং আস্থা তৈরি হবে। আর এন্ট্রারপ্রেনারশীপের আওতায় গ্রামীণ যুব সমাজকে এন্টারপ্রেনারশীপ বা আত্ম-কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হয়, কেমন বিনিয়োগ করতে হয়, কিভাবে ব্যাংক লোন পেতে হয়, কিভাবে নিজ ব্যবসার ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং করতে হয় তারা ইত্যাদি বিষয়ে সম্যক ধারণা পাবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ্যাপ্রেনটিসশীপ বা কারখানায় হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে কাজ শেখার পদ্ধতিটি একটি নতুন ধারণা। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ অন্যান্য দেশের কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের সাথে ইন্ডাস্ট্রিসমূহের সংযোগ স্থাপন।
এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে ২০১৬ সালে আইএলও-এর সহযোগিতায় দেশের ৩০টি উপজেলায় ইনফরমাল সেক্টরে “শিক্ষানবিশ’র মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন” প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৬টি ট্রেডে এক হাজার ২০০ বেকার তরুণ-তরুণী এ্যাপ্রেনটিস (শিক্ষানবিশ) প্রোগ্রাম শেষ করে যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত হয়েছে।
২০১৭ সালে এ উদ্যোগ দেশের ৫০টি উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে তিন হাজার ৬০০ বেকার তরুণ-তরুণীকে ইনফরমাল সেক্টরে এ্যাপ্রেনটিসশীপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা হচ্ছে। ইনফরমাল সেক্টরে এ্যাপ্রেনটিসশীপের পাশাপাশি চলতি বছর এগ্রো-ফুড, ফার্নিচার, লেদার, হোটলে এ্যান্ড ট্যুরিজম সেক্টরের ফরমাল ইন্ডাস্ট্রিতেও এ্যাপ্রেনটিসশীপ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এক্সপার্ট আসাদ-উজ-জামান, অক্সফ্যাম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইকোনমিক জাস্টিস এন্ড রেসিলয়েন্স) মো. খালিদ হোসেন, অক্সফ্যাম এর ম্যানেজার (উইন এন্ড কমিউনিকেশন) মনীষা বিশ্বাস, অক্সফ্যাম এর প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর জলি নূর হক এবং এটুআই ও অক্সফ্যাম এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টিকে