ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

খালেদা জিয়াসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, জামিনে মুক্ত মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৬ বুধবার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও যাত্রী হত্যার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বিকেলে মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নাশকতার মামলায় সকালে কারাগারে পাঠালেও বিকেলে জামিন দেন সিএমএম কোর্টের বিচারক গোলাম নবী। গত বছরের জানুয়ারিতে বিএনপি জোটের টানা অবরোধের সময় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ নাশকতা ছড়িয়ে রাজধানীসহ দেশজুড়ে।  ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে মারা যান ১ জন। এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। বুধবার মামলাটির চার্জশিট আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত। এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পল্টন থানায় দায়ের করা  নাশকতার তিন মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করেন। দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায় সিএ্মএম কোর্ট। পরে বিকেলে আবার জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। কারাগারে পাঠানোর তিন ঘণ্টা পর জামিন পান মির্জা ফখরুল। এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপির মহাসচিব মনোনীত করেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন রুহুল কবীর রিজভী। একই সঙ্গে  সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে রুহুল কবির রিজভী এবং মিজানুর রহমান সিনহাকে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করারও ঘোষনা আসে। মহাসচিব ঘোষণার পর নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হলে নয়া পল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। জামিন বাতিলের ঘটনাকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।