ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৩৫ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চার ক্যাটাগরিতে ২৬ ব্যক্তি ও ৯ প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছে। প্রথমবারের মতো শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী ৫ ব্যাংককে পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ২০১৬ সালের রেমিট্যান্সের ওপর ভিত্তি করে।

এবার আওতা বাড়িয়ে ২১ জন শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ব্যক্তি, ৫ জন বন্ডে বিনিয়োগকারী, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানার চারটি এক্সচেঞ্জ হাউস এবং রেমিট্যান্স আহরণকারী পাঁচটি ব্যাংককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ও বন্ডে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৭ জন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। অন্যরা যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, কাতার ও অস্ট্রেদ্ব্রলিয়ায় বসবাস করেন।

 শীর্ষ ৫ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীর মধ্যে তিনজনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামাইন নামক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন। তারা হলেন- মাহতাবুর রহমান, ওয়ালিউর রহমান ও এমাদুর রহমান। আর রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ পাঁচ ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, অগ্রণী, সোনালী ও জনতা ব্যাংক। এক্সচেঞ্জ হাউসের মধ্যে দুটি যুক্তরাষ্ট্রের এবং যুক্তরাজ্য ও ইতালির একটি করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের জাতীয় বীর আখ্যায়িত করে বলেন, রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে আইনের নামে অপ্রয়োজনীয় সব বাধা দূর করতে হবে। সব ধরনের নীতিমালা আরও উদারীকরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কেউ যেন অবৈধ কার্যক্রম করতে না পারে তার জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা হালদার।

আরকে//এআর