রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে মরিচের গুঁড়া ও গ্রেনেড ছুড়ছে ভারত
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার
সহিংসতার মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে তাদের ওপর মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ছে ভারত। সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এবার রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৪ আগাস্ট রাতে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে বিদ্রোহীদের হামলার পর শুরু হওয়া সেনা অভিযানের মুখে দলে দলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসতে শুরু করেছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, গত চার সপ্তাহে ৪ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতেও মরিয়া হয়ে আছে কয়েকশ রোহিঙ্গা।
তাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সেদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে ।
ভারত সীমান্তে যে স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে সেটি মূলত মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ছুড়লে প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। এতে মানুষ আতংকিত হয়, অনেক সময় অচেতন হয়ে যায়।আর মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ-এর কর্মকর্তা বলেন, ভারতে প্রবেশে চেষ্টাকারী কয়েকশ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে আমরা মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ব্যবহার করছি।
বিএসএফ-এর উপমহাপরিদর্শক আর. পি. এস জসওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের বড় অংশের টহল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সীমান্তরক্ষীরা মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয় ভারত। সমুদ্রপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয় দিল্লি।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের একটি প্রধান হুমকি মনে করে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী।
সূত্র:রয়টার্স
/এম/এআর