কিছু শরণার্থী ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে : সু চি
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার
কিছু শরণার্থী ফেরত আনার জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তিনি বলেন, তাদের ফেরত আনার এই প্রক্রিয়া যেকোনো সময় হতে পারে। পাশাপাশি বাংলাদেশে শরণার্থীদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করারও চেষ্টা চলছে বলে জানান সু চি। বুধবার জাপানি পত্রিকা নিকি এশিয়ান রিভিউকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, রাখাইন সংকট সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থনৈতিক সংস্কারে পদক্ষেপ নিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। আমরা কৃষি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। দেশের দারিদ্র্য দূর করতে এ ধরনের আর্থিক সংস্কার খুবই প্রয়োজন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার একদিন পরেই মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চি জাপানি এ পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেন।
উল্লেখ্য, দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে অভিযানে নামে। সেখানে রোহিঙ্গাদের দমন-পীড়ন চালানো হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের ঘরবাড়ি। সহিংসতা থেকে নিজেদের বাঁচাতে দেশটির রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সু চি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্তর্জাতিক মহল।
জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতারা সু চির বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলীকরণে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। সমালোচকরা বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান বন্ধে সু চি ইচ্ছুক নন।
সমালোচনা প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অবাক করার মতো কোনো কিছুই নয়, সবার মতো বিশ্ব নেতারাও মত বদলায়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সু চি দাবি করে বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে আর কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
এরপরও কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসছে জানতে চাইলে সু চি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী কেন আসছে, তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে সরকার।
আর/ডব্লিউএন