বাংলাদেশে অটিজম আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে
প্রকাশিত : ০৯:৫৮ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার
অটিজম কোন মানসিক রোগ নয়; মস্তিস্কের বিকাশজনিত সমস্যা। একে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজওর্ডার বা এএসডি- ও বলা হয়। এর প্রকৃত কারণ আবিস্কৃত না হলেও, বংশগতি, পরিবেশ দূষণ ও ভেজাল খাদ্য অটিজমের পিছনে ভুমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশে অটিজম চিহ্নিত করার পরেও আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে এ ধরনের সমস্যাগ্রস্থ শিশুর সংখ্যা। ২০১৪ সালের হিসাবে, দেশে অটিজম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রতি ১শ ৫০ জনে একজন। এ অবস্থায়, ‘অটিজম ও এজেন্ডা ২০৩০: একীভূতকরণ ও স্নায়ুবৈচিত্র’- এই প্রতিপাদ্যে আগামী ০২ এপ্রিল পালিত হবে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।
সমাজের আর দশটি শিশুর মতোই ওদের বেড়ে উঠা। তবে, সমস্যা কেবল তাদের মস্তিস্কের স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রে। বয়সের সাথে সাথে মস্তিস্কের স্বাভাবিক বিকাশে কোনোরকম ত্র“টি বা বাধাগ্রস্থ হলে, তা শিশুর আচরণ ও বেড়ে উঠায় প্রভাব ফেলে। এ ধরনের সমস্যাকেই বলা হচ্ছে, অটিজম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে; ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। বাকী ২০ থেকে ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়, সেগুলো হচ্ছে:
> মস্তিস্কের গঠনগত ত্র“টি
> স্নায়ুতন্ত্রের রাসায়নিক উপাদানে অসামাঞ্জস্যতা
>শিশুর জন্মপূর্ব বা জন্মপরবর্তী কোন সংক্রমণ ব্যাধি
>জিন অথবা ক্রোমোজমের অস্বাভাবিকতা
> অন্তক্ষরা গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে অসামাঞ্জস্যতা
শিশুর এ ধরণের সমস্যা জন্মগত নয়; সাধারণত ১৮ মাস থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুর আচরণে অস্বাভাবিকতা বা সাধারণের চেয়ে ভিন্নতা স্পষ্ট হয়। অটিস্টিক শিশুদের সাধারন কিছু আচরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
> প্রাত্যহিক রুটিন পরিবর্তনে বাধা দান
> অতিরিক্ত চাঞ্চল্য বা উত্তেজনা
> আবেগ প্রকাশে সমস্যা
> অস্বাভাবিক শারীরিক অঙ্গভঙ্গি
> অসঙ্গতিপূর্ণ হাসি কান্না
> কোন কিছুর প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ।
অটিজমের বৈশিষ্ট্য ও মাত্রা প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে আলাদা বলে জানান, বিশেষজ্ঞ।
অটিজমের কারণ যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনি এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও এখনও উদ্ভাবিত হয়নি। তবে, শুরুতে সমস্যাটি চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা করা হলে অটিজম আক্রান্ত হওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।