বিদ্যুতের দাম বাড়লে বাধাগ্রস্ত হবে বিনিয়োগ : ডিসিসিআই
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার
বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হলে উৎপাদনমুখী শিল্প বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্টিল রি-রোলিং, টেক্সটাইল খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এসব খাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য জানিয়েছে।
ফের বিদ্যুতের দাম বাড়াতে ৬টি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের উপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর গণশুনানি শুরু করতে যাচ্ছে। এ প্রস্তাব পাশ হলে খুচরা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে যে বিদ্যুত খরচ পড়ত ৯ টাকা ১৬ পয়সা, তা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ টাকায়; বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা, বৃহৎ শিল্পকারখানার ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৫২ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৩২ পয়সা এবং গৃহস্থালীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে ৬ টাকা ১০ পয়সা হবে।
বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ানোর এ প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটি মনে করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য ফের বাড়ানো হলে তা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডিসিসিআই এর বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে পিডিবির বিদ্যুতের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ১৮০ শতাংশ বেশি, যা প্রস্তাবিত মূল্য বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আরকে/ডব্লিউএন