পর্ব-১
‘পাওয়ার ইওর হার্ট, শেয়ার ইওর হার্ট’
প্রকাশিত : ১১:২৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১১:১২ এএম, ২ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পাওয়ার ইওর হার্ট, শেয়ার ইওর হার্ট’। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটি ৭৭ লাখ বা মোট মৃত্যুর ৩১ শতাংশ ঘটে হৃদরোগের কারণে। এ কারণে হৃদরোগকে এক প্রকার মহামারি বললেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমান।
ইটিভির স্টাফ রিপোর্টার আহম্মদ বাবুকে তিনি বলেন, হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা সারা বিশ্বে বেড়েছে। আমরা যদি পরিসংখ্যানে দেখি, সারা ওয়ার্ল্ডে সেভেটিন হ্যান্ড্রেড মিলিয়ন পিপল সাফারিং ফ্রম দ্য হার্ট ডিজিস, হার্ট ডিজিস কিন্তু হায়েস্ট কিলার অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বাংলাদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কিন্তু খুবই বাড়ছে। আমাদের প্রেজেন্ট সিনারিও আমাদের ফোর টু সিক্স পারসেন্ট পেসেন্ট হৃদরোগে ভুগছেন।
এই রোগ বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, স্মোকিং, ডায়াবেটিস, ল্যাক অব ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ। আমরা নিয়মিত এক্সারসাইজ করি না, আমাদের ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে আছে কি না চেক করছি না। একইসাথে কার্বোহাইড্রেট রিলেটেড আমাদের ফুড হেভিট পরিবর্তন করতে হবে, রেড মিট, গরুর মাংস, খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। খেতে নিষেধ নাই। প্রতিদিনের ফুড এর সাথে ভেজিটেবল থাকতে হবে, ফ্রুটস থাকতে হবে, তাহলে কিন্তু হার্ট ডিজিসটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। প্রতিকারের দিকে আমাদের মুভ করতে হবে। প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে হয়। এবারকার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে টুয়েন টি নাইন সেপ্টেম্বর। প্রতিটা বছরের এই দিনের জন্য একটা স্লোগান থাকে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন থেকে।
এবারকার স্লোগান পাওয়ার ইওর হার্ট, শেয়ার ইওর হার্ট। সেটাকে শেয়ার করে আমরা বেঁচে থাকি। আমার ফিজিক্যাল একটিভিটিস কেমন হবে সেটা নির্ভর করছে হার্টের পাওয়ারের উপরে। এই পাওয়ার অব দ্য হার্ট, পাওয়ার হাউজ বলার উদ্দেশ্যটা কি? পাওয়ার হাউজটাকে আমাদের চার্জ করতে হবে। হার্টটাকে চার্জ দিতে হবে, ফুয়েল দিতে হবে, পাওয়ার হাউজটাকে নিয়মিত কন্ট্রোলে রাখতে হবে।
এটা কীভাবে করতে পারি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক কথায় ব্যায়াম করবেন। যেমন মোবাইলে চার্জ দেওয়া। হার্টের চার্জ হচ্ছে কায়িক পরিশ্রম। হার্টের এনার্জি আসবে কোথা থেকে? এটা তো ইলেকট্রিসিটিতে দেয়া যাবে না, এটা কীভাবে দেয়া যাবে? রেগুলার ফিজিক্যাল একটিভিটিস— তাহলে কিন্তু হার্টের এনার্জি বাড়বে।
আপনি কায়িক পরিশ্রম যত কম করবেন হার্ট তাত ইনঅ্যাক্টিভ থাকবে, হার্টের এনার্জি তত কমে যাবে। হার্ট উইক হয়ে যাবে। তার মানে কায়িক পরিশ্রম বলেন, ফিজিক্যাল এক্সসারসাইজ বলেন, সুইমিং বলেন, খেলাধুলা বলেন সবগুলো কিন্তু হার্টকে চার্জ করতে পারে। এছাড়া ফুড হেভিট পরিবর্তন করে। আপনার প্রতিদিনের ফুডের মধ্যে যদি ফ্রুটস থাকে, যদি আপনি গরুর মাংস কম খান, খাসির মাংস কম খান তখন কিন্তু হার্টের কোলেস্টেরল কম থাকবে, তাহলে কিন্তু হার্ট ভালো থাকবে।
এছাড়া হার্টের পাওয়ার বাড়াতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে আর স্ট্রেস কমাতে হবে। স্ট্রেস তো আর বাদ দিতে পারবেন না, তবে কমাতে হবে।
আরকে/ডব্লিউএন