রাখাইনে হিন্দুদের গণকবররের সন্ধান পাওয়ার দাবি
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। কবরটিতে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এসব হিন্দুদেরকে হত্যা করেছে বলে দাবি করছে সেনাবাহিনী।
তবে এলাকাটিতে চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকায় সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়। রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখ ত্রিশ হাজারের বেশী রোহিঙ্গা প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গণকবরে ২৮ হিন্দু গ্রামবাসীর লাশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকারি বাহিনীগুলো। রোববার পাওয়া এসব লাশের মধ্যে ২০টি নারীদের এবং বাকী আটটি পুরুষ শিশুর বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক শরণার্থী মিয়ানমারের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম ইয়ে বাও কিয়ার কাছে তল্লাশি চালানো হয়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা জানান, ২৫ অগাস্ট এআরএসএ-র প্রায় ৩০০ জঙ্গি প্রায় ১০০ জনকে ধরে গ্রামের বাইরে নিয়ে হত্যা করে।
তবে এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) । তাদের দাবি, তারা বেসামরিকদের ওপর কোনো হামলা চালায় না এবং কোনো হিন্দুকেও হত্যাও করেনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবর খুঁড়ে মোট আটাশটি মৃতদেহ পেয়েছে। যাদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি এবং তারা সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার কারণে রোহিঙ্গারা আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে, রাখাইনে চলমান সহিংসতাকে `জাতিগত নিধন` বলে বর্ণনা করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার।
সূত্র : বিবিসি।
/আর/এআর