ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা এখনই নয়’

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪৪ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা- তা দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর বিবেচনা করা হবে। এমনটি জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল। সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন ত্রাণ সচিব।


ত্রাণ সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে এরা অনুপ্রবেশকারী। কারণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে, এই আলোচনার পর যদি দেখা যায় এই সঙ্গক দীর্ঘমেয়াদী হয়, তখনই বিষয়টি বিবেচনায় আসবে। এখন কিন্তু (বিবেচনায়) আসার সময় হয়নি।


এদিকে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আমরা প্রথম থেকেই পরিস্কারভাবে বলছি, এরা মিয়ানমারের নাগরিক, এদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে, এই সমস্যা মিয়ানমারের, এই সমস্যা তাদের সমাধান করতে হবে।


মানবিক দৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে মায়া বলেন, বিশ্ববাসীও আমাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।


রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, এটা সময়ের ব্যাপার। এই যে আসছে এতগুলো লোক, আমরা তাদের শরণার্থী করবো কী না, সময় অনেক কিছু বলে দেবে, আমরা আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা চাই। রোহিঙ্গারা এখন নাগরিকত্ব নয়, পাচ্ছে জন্ম সনদ।


বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীদের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে জন্ম সনদ দেওয়া হচ্ছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তাদের কোনো নাগরিকত্ব বাংলাদেশ দিচ্ছে না। শুধুমাত্র বার্থ রেজিস্ট্রেশনটা দিচ্ছে, ওখানে লেখা হচ্ছে এরা মিয়ানমারের নাগরিক।


রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী শেল্টার নির্মাণে সরকার দুই হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করলেও সেখানে যাতায়াতে জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরিতে ৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে ত্রাণমন্ত্রী মায়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাস্তা করতে ৩৫ কোটি টাকার মত খরচ হবে। সেখানে তারা (ইউএনএইচসিআর) আশ্বস্ত করেছেন, এই টাকা তারা দেবেন, আগামীকালই এই টাকা পেয়ে যাব। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই রাস্তাটা করব। রাস্তা করা হয়েছে গেলে অস্থায়ী শেল্টার তড়িৎ গতিতে করতে পারব।


রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন ক্যাম্পে শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে মায়া বলেন, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ যে পর্যায়ে রয়েছে, তিনি তা দেখেছেন। এগুলো কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে উনারা (ইউএনএইচসিআর) সাহায্য-সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।


রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব হলে ভাসান চরে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানেও ইউএনএইচসিআর সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। এসব কাজকে সুষ্ঠুভাবে করতে অভিজ্ঞ ও ইউএন এজেন্সিগুলোকে নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
আরকে//