পিরামিড তৈরিতে লাগে এক লাখ ৭০ হাজার টন চুনাপাথর
প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার
মিসরের পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি। তবে পিরামিড কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে নিয়ে রহস্যের জট খোলা এতোদিন সম্ভব হয়নি।
তবে সম্প্রতি দেশটির কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, তারা সেই রহস্যের জট অনেকটাই খুলতে সক্ষম হয়েছেন।
দি ইনডিপেনডেন্টে এ সম্পর্কে বলা হয়, দীর্ঘ গবেষণার পর প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, মিসরের কায়রোর অদূরে নীল নদের পশ্চিম তীরের শহর গিজায় পিরামিড তৈরিতে এক লাখ ৭০ হাজার টন ওজনের চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলো নদীপথে নৌকায় করে আনা হয়। এই বিশাল পাথর বহনের উদ্দেশ্যেই ওই সময় তৈরি করা হয় বিশেষ ধরনের নৌকাগুলো। আর সেই নৌকা দিয়ে নীল নদের তীরে অবস্থিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শহর অসান থেকে প্রায় ৫৩৩ মাইল বহন করে গিজায় পাথরগুলো পরিবহন করা হয়। আর এভাবেই তৈরি হয় চার হাজার বছর আগে মিসরের সম্রাট কুফুর পিরামিড।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, নীল নদ দিয়ে এই বিশালাকার পাথর বহন করে নিয়ে আসতে কাজ করেছিল হাজার হাজার প্রশিক্ষিত শ্রমিক। তারা আরো বলেন, পিরামিড পরিবহনে ব্যবহার করা কিছু নৌকা ও তাতে ব্যবহৃত দড়ির সন্ধানও তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলোর অবস্থা এখনো অনেক ভালো।
পিরামিড নির্মাণের রহস্য উন্মোচন বিষয়ে চ্যানেল ফোর ‘ইজিপ্টস গ্রেট পিরামিড : দ্য নিউ এভিডেন্স’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। সেই প্রামাণ্যচিত্রে পিরামিডের নির্মাণ নিয়ে কাজ করা দলের তত্ত্বাবধায়ক পিয়ার টেল বলেন, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম পিরামিড কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে তার জোরালো প্রমাণ, তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে।’
তবে এ নিয়ে মিশরের কয়েকজন প্রত্নতত্ত্ববিদ তাদের এ মতকে সমর্থন করেননি ।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্টে
এম/এআর