হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কি খাবেন
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৩:৩৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার
হৃৎপিণ্ড দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ্য রাখতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় খাদ্যাভ্যাস। আর হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাচঁতে হলে আপনাকে কয়েকটি খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড। আসুন জেনে নিই হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে কতিপয় প্রয়োজনীয় খাবার সম্পর্কে।
১. বাদাম
বাদামে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, যা বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।
২. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
প্রতিদিন অতিরিক্ত নয়, মাত্র দুই চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলই আপনার রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।
৩.গ্রিন টি
গ্রিন টি হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. ফুলকপি ও পালং শাক
ফুলকপি ও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. চর্বিযুক্ত মাছ
হৃদরোগ থেকে রক্ষার জন্য মাছ খুবই ভালো খাবার। চর্বিযুক্ত মাছ এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে।
৬. ওটমিল
ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া হৃদরোগ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। এক্ষেত্রে ওটমিল হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এটি রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমবে এবং হজমশক্তি বাড়বে।
৭. বেরি
বিভিন্ন ধরনের বেরি হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি খুবই উপযুক্ত।
৮. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কোকোয়া। আর এটি রক্তচাপ ও সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।
৯. ডালিম
ডালিম ও বেদানাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রক্তচাপ কমায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
১০. দারুচিনি
দারুচিনি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া হৃদরোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।
১১. তরমুজ
তরমুজ কোলস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে খুবই কার্যকর। এছাড়া এর আরও বহুগুণ রয়েছে, যা আদতে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক।
১২. রসুন
রসুনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দারুণ গুণ রয়েছে। এটি নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১৩. আপেল
আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অন্যান্য উপকারী উপাদান। এটি রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। হৃদরোগের জন্য এটি খুবই কার্যকর। সূত্র: ব্রাইট সাইড
এম/ডব্লিউএন