দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪শতাশ : বিশ্ব ব্যাংক
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০১:৫২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শনিবার
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও তা ৬ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হবে না বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’- এ এই প্রতিবেদন তুলে ধরে হয়।
সংস্থাটির ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির এই প্রাক্কলন ভারত ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি। ভারতে চলতি বছর ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন দেওয়া হলেও, সেটাও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর চীন ৬ দশমিক ৩, ইন্দোনেশিয়া ৫ দশমিক ৩, থাইল্যান্ড ৩ দশমিক ৩, পাকিস্তান ৫ দশমিক ৫ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের ঘরে আটকে থাকার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে। চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৫-১৬ বছরে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ওই বছর বাংলাদেশ অর্জন করে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও অর্থমন্ত্রী বার বারই বলছেন, প্রবৃদ্ধির হার আর কখনও ৭ শতাংশের নিচে নামবে না।
জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি দেখে বলা যায়, বাংলাদেশের রপ্তানি খাত এখন ভালো করছে। গত অর্থবছরে কম প্রবৃদ্ধি হলেও এবার প্রথম দুই মাসের যে তথ্য পাওয়া গেছে তা ভালোর দিকেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।
তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানিতে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। সরকার চলতি অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ঠিক করেছে।
বাংলাদেশ গত বছর রপ্তানির পাশাপাশি রেমিটেন্সেও বড় ধাক্কা খেয়েছিল। ওই সময় রেমিটেন্স কমেছিল ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাংক মনে করে, এবার ধাক্কা সামলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ।
জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে এবার জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা গেছে। এর কারণ হিসাবে তিনি ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোকে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেবা ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণেই চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বাংলাদেশ।
আর/ডব্লিউএন