রিজার্ভ চুরির ৮ কোটি ডলারের মধ্যে ৪৩ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম অং
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:১১ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ডলারের মধ্যে ৪৩ লাখ ডলার ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলকে ফেরত দিয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম অং। আর ফিলিপাইন সরকার চেষ্টা করলেই আরো ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার উদ্ধার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সিনেট কমিটির প্রেসিডেন্ট। এদিকে, শিগগিরই ফিলিপাইনে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।
ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির ৩য় দফার শুনানির তথ্য অনুযায়ি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৬৯ লাখ ডলার এখনও দেশটির ক্যাসিনোগুলোতে রয়েছে। এ অর্থ ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত দেয়া সম্ভব বলে জানান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম অং।
এরইমধ্যে রিজার্ভের ৪৬ লাখ ডলার দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলকে ফেরত দিয়েছেন ব্যবসায়ী কিম।
আর সিনেট কমিটির প্রেসিডেন্টের মতে, ফিলিপাইন সরকার চেষ্টা করলেই চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব। দেশটির রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান তিনি।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।
এদিকে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো এবং জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা এঞ্জেলা টরেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আর অর্থ চুরির ঘটনায় অ্যান্ড্রিন ইউজুইসো নামে আরো এক ব্যাংক কর্মকর্তার নামও বেরিয়ে এসেছে। কিছুদিন আগে ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করলেও তাকে নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়েছে বলে জানান আরসিবিসি ব্যাংকেরই এক কর্মকর্তা। এছাড়া মায়া দেগুইতোর এক বন্ধুর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।