রণবীরের জন্মদিনে তারার মেলা
প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুর। ২৮ সেপ্টেম্বর ছিলো তার জন্মদিন। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পালি হিলের বাসায় নিজের বন্ধু-সহকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রণবীর।
ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, রণবীরকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বার্থ ডে পার্টিতে সস্ত্রীক হাজির হন আমির খান। জন্মদিনের দাওয়াত পেয়ে হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ খানও। এ ছাড়া আদিত্য রায় চোপড়াকেও দেখা গেছে রণবীরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। আবার যে রণবীরকে কেন্দ্র করে সিদ্ধার্থ কাপুর ও আলিয়া ভাটের সম্পর্কের ভাঙনের গুঞ্জন, সে রণবীরের জন্মদিনের পার্টিতেই এসেছিলেন এই দুই তারকা।
অপরদিকে রণবীরের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা করণ জোহর।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, রণবীরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে করা একটি টুইটে করণ লেখেন, ‘এই অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন বালকটিকে নিয়ে আমাদের অনেক দূর দৌড়াতে হবে। ওয়েক আপ সিড, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিলের মতো সামনে আরো একটি ছবি আসছে।’
বর্তমানে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘দত্ত’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রণবীর। এরপর অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ড্রাগন চলচ্চিত্রেও দেখা যাবে রণবীরকে। এ ছাড়া ইমতিয়াজ আলীর পরবর্তী চলচ্চিত্রেও অভিনয় করার সম্ভাবনা রয়েছে রণবীরের।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সাওয়ারিয়া সিনেমা দিয়ে প্রথম পর্দায় আসেন রণবীর। সিনেমাটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নবাগত পুরস্কারও অর্জন করেন।
২০০৯ সালে তিনি ওয়েক আপ সিড ও আজব প্রেম কি গজব কহানি নামে দুটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রদুটি সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত হয়। শেষোক্ত ছবিটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সমালোচক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১০ সালে তিনি বহু-তারকা সমন্বিত রাজনীতি ছবিতে অভিনয় করেন। তার জনপ্রিয় ছবির মধ্যে এটি অন্যতম।
রণবীর কাপুর ১৯৮২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অভিনেতা ঋষি কাপুর ও নিতু সিংহের পুত্র। তাঁর বোন ঋদ্ধিমা কাপুর। রণবীর অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার রাজ কাপুরের পৌত্র এবং পৃথ্বীরাজ কাপুরের প্রপৌত্র। তাঁর ঠাকুরদার ভাই হলেন বিশিষ্ট অভিনেতা শশী কাপুর ও শম্মী কাপুর। তিনি অভিনেতা রণধীর কাপুরের ভ্রাতুষ্পুত্র। তাঁর পরিবারের অন্য উল্লেখযোগ্য সদস্যেরা হলেন তাঁর তুতো ভাইবোন করিশমা কাপুর, করিনা কাপুর ও নিখিল নন্দা। শৈশবে রণবীর মুম্বইয়ের মাহিমের বোম্বাই স্কটিশ স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে পদ্ধতিমূলক অভিনয় শিক্ষা করেন নিউ ইয়র্কের লি স্ট্যাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এ।
অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরুর আগে তিনি ব্ল্যাক (২০০৫) ছবিতে সঞ্জয় লীলা বনশালীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া সিদ্ধার্থ আনন্দের রোম্যান্টিক কমেডি বচনা আয়ে হাসিনো (২০০৮) ছবিতে তিনি বিপাশা বসু, মিনিশা লাম্বা ও দীপিকা পাড়ুকনের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই ছবিটি বক্স অফিসে ভালই সাড়া ফেলেছিল।
২০০৯ সালে রণবীরের প্রথম ছবিটি ছিল অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ওয়েক আপ সিড। এই ছবিতে তিনি এক মুম্বইবাসী বখাটে, আত্মপর কলেজ ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন। কঙ্কনা সেনশর্মার বিপরীতে রণবীর কাপুর অভিনীত এই ছবিটি বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করে, আবার সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত হয়। এই ছবির জন্য রণবীর একাধিক চলচ্চিত্র পুরস্কারে "শ্রেষ্ঠ অভিনেতা" বিভাগে মনোনীত হন। তাঁর পরের ছবিটি ছিল আজব প্রেম কি গজব কহানি। এই ছবিতে তিনি ক্যাটরিনা কাইফের বিপরীতে অভিনয় করেন। এটি সে বছরের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ছবিগুলির অন্যতম। এরপর তিনি শিমিত আমিনের ড্রামা রকেট সিং: সেলসম্যান অফ দ্য ইয়ার ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি মুক্তি পেলে এটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়, কিন্তু বক্স অফিসে সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এই ছবিতে রণবীরের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২০১০ সালে তিনি প্রকাশ ঝা পরিচালিত বহু তারকা সমন্বিত রাজনীতি ছবিতে অভিনয় করেন। এরপর সিদ্ধান্ত আনন্দের আনজানা আনজানি ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিপরীতে অভিনয় করেন।
এছাড়াও এই তারকা বার্ফি, বোম্বাই টকিজ, ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, রয়, বোম্বাই ভেলভেট, তামাশা, গার্লস উইথ গোলস, এ দিল হে মুশকিল, জাজ্ঞা জাসুস সহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
সূত্র : ডিএনএ ইন্ডিয়া।
//এস//এআর