ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিয়ের অনুমতি না পেয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা!

প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার বাগমারা গ্রামে মুন্নী আক্তার নামের এক গৃহবধূকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পথে মুন্নী আক্তার মারা যান।

পুলিশের বক্তব্য, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় মুন্নী আক্তারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারেন তাঁর স্বামী মুসা গাজী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে জানান, গত পাঁচ মাস আগে মুন্নী আক্তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে মুসা গাজী দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য স্ত্রীর কাছে অনুমতি চান। কিন্তু তিনি অনুমতি না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারণে মুসা প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। অনেক রাতে স্ত্রীকে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাইরে চলে যেতেন।

ওসি আরো জানান, গতকাল শনিবার রাতে ঘুমন্ত মুন্নীর শরীরে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন মুসা। এর পর তিনি নিজেই আবার স্ত্রীর শরীরের আগুন নেভাতে গিয়ে কিছুটা দগ্ধ হন। পরে দগ্ধ মুন্নী ও মুসাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুন্নীর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনায় পাঠানো হয়। যাওয়ার পথে ডুমুরিয়া উপজেলার চুপনগরে তিনি মারা যান।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরহাদ জামিল বলেন,‘মুন্নির দেহের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তিনি মারা গেছেন।’

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বলেন, খুলনায় নেওয়ার পথে মারা যান মুন্নী আক্তার। তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনরা পর তাঁর স্বামী সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে।

কেআই/ডব্লিউএন