ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৩ ১৪৩১

পরিচয়পত্র পেয়ে খুশি রোহিঙ্গারা

জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ থেকে :

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:৩২ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

সেনাবাহিনীর গণহত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র পেয়ে মহাখুশি। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এসব পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। তবে পরিচয়পত্রে জাতি হিসেবে ‘রোহিঙ্গা’ না থাকায় অনেকের চোখে মুখে বিষন্নতা দেখা গেছে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার পর পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাঁচ থেকে ঊর্ধ্বে বয়সীদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, কত তারিখে এসেছে, মিয়ানমারে তাদের বাড়ির ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ছবি ও আংগুলের ছাপ নিয়ে লেমিনেটিং করে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।

পরিচয়পত্র পাওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, মিয়ানমারে না হোক, এদেশে এসে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা মেনে নিলে শিগগিরই দেশে ফিরতে চায় তারা।

বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে গলায় ঝুলিয়ে বুথ থেকে বের হয়ে আসার সময় কথা হয় ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী বেবী আসমা, মায়মুনা ও সাদিয়ার সঙ্গে। তারাও মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে নিবন্ধিত হতে পেরে উৎফুল্ল। তাদের মধ্যে বেবী আসমা কার্ডটি তুলে ধরে জানতে চায় পরিচয়পত্রে জাতীয়তা কি লেখা আছে? কার্ডটি দেখে তাকে জাতীয়তা ‘মিয়ানমার’বললে ফের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় বেবী আসমা। ‘রোহিঙ্গা’ লেখা নেই? না বললে তখন তার চোখে মুখে বিষন্নতা দেখা যায়।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর থেকে টেকনাফ ও উখিয়ার ৩টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ২৫৩ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

জেএ/ডব্লিউএন