দেহঘড়ির আণবিক সূত্র উদঘাটন করে তিন মার্কিনীর নোবেল জয়
প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৬:২৬ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানবদেহ যেভাবে কাজ করে সেই `বডি ক্লক` বা দেহঘড়ির আণবিক রহস্য উদঘাটন করে তিন মার্কিন বিজ্ঞানী এবার নোবেল পুরষ্কার জয় করেছেন। পৃথিবীর ঘুর্ণনের সঙ্গে আমাদের জীবযাত্রা কীভাবে অভিযোজিত হয় তার বিষদ ব্যাখ্যা দিয়ে তারা নোবেলে জয় করেছেন।
এরা হলেন- জেফ্রি সি হল, মাইকেল রসবাস এবং মাইকেল ডব্লিউ ইয়ং। সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেন।
অনেক বছর ধরে আমরা জানতাম, মানুষসহ জীবিত প্রাণিসত্বার একটি নিজস্ব জৈবিক ঘড়ি রয়েছে যা দিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে খাপ খাওয়ায়। কিন্তু কীভাবে এই ঘড়ি কাজ করে? এই তিন মার্কিনী আবিষ্কার করেছেন কীভাবে এই ঘড়ি কাজ করে এবং এর অন্তর্নিহিত কার্যক্রম বিষদ ব্যাখা করেছেন তারা।
তারা ব্যাখ্যা করেছেন, পৃথীবির ঘুর্ণনের সঙ্গে সময়ের সামঞ্জস্য বিধান করে কীভাবে উদ্ভিদ, পশুপাখি এবং মানুষ তাদের জৈবিক তাল মিলিয়ে চলে।
গবেষণায় তারা মাছিকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করেন।
এবার নোবেল পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা এই তিন বিজ্ঞানী ভাগ করে নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার পদার্থ, বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর সাহিত্য পুরস্কার কবে ঘোষণা করা হবে, সে তারিখ পরে জানানো হবে বলে নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
জীবদেহ কেমন করে ত্রুটিপূর্ণ কোষ ধ্বংস করে নিজের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে, আর কোষ কীভাবে নিজের আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে সুস্থ থকে, সেই রহস্যে আলো ফেলে জাপানের বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওশুমি গতবছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন।
সূত্র: নোবেলপ্রাইজডটওআরজি।
ডব্লিউএন