বোলারদের একহাত নিলেন মুশফিক
প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৯:০২ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
পচেফস্ট্রুম টেস্ট যেভাবে বাংলাদেশ হেরেছে, তাতে বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান সবাইকে দায়ী করা যেতে পারে। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও তেমনটাই মনে করছেন। তবে লজ্জাজনক হারের কারণে তিনি বোলারদের দায়ী করলেন।
টেস্ট শুরুর আগের দিন মুশফিক জানিয়েছিলেন পচেফস্ট্রুম এর উইকেট অনেক শুকনো। তারপরও টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার বিষয়ে কিছুটা বির্তকের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। আজ ম্যাচ শেষে যা উত্তর দিলেন তাতে বোলারদের উপর মুশফিকের অনাস্থাই ফুটে উঠল।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন উইকেট হবে অনুমান করা কঠিন। যতই ফ্ল্যাট উইকেট হোক, যদি সুবিধা নিতে চান, সেটা প্রথম দুই ঘণ্টায় নিতে হবে। বলতে পারেন না টস জিতে ব্যাটিং নিয়েই ৫০০ রান করতে পারতাম। ঠিকভাবে খেলতে পারলে তৃতীয় দিনে অনেক ভালো রান করতে পারতাম (প্রথম ইনিংসে)। হ্যাঁ, বলতে পারতাম, ফ্ল্যাট উইকেটে ব্যাটিং (শুরুতেই) করতে পারতাম। তবে ফ্ল্যাট উইকেটে আমাদের বোলাররা বোলিং করতে পারবে, এটা কখনোই বিশ্বাস করি না।’
বোলারদের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে মুশফিক বলেন, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে আপনি উইকেট না পান, ঠিক জায়গায় বোলিং তো করতে পারেন। সে জন্যই তো জাতীয় দলে খেলছেন। …আমিও তো ছয়টা বলের মধ্যে দুইটা লাইনে ফেলতে পারতাম। প্রথম ইনিংসে বোলাররা আমাকে অনেক হতাশ করেছে। এক সেশনে উইকেট না পান, রানটা আটকে রাখতে পারেন, যেটা দলকে কাজে দেয়। ৫০০-৫৫০ রানের বোঝা নিয়ে খেলা আর ৩০০-৪০০ রানের বিপক্ষে খেলা দুই রকম ব্যাপার। শুধু বোলার নয়, ব্যাটসম্যানদেরও দায় আছে। প্রথম ইনিংসে আমরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছি। পুরো টেস্টে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুটিই খারাপ করেছি।’
দুই দলের পেসারদের যে বিস্তর পার্থক্য নিয়ে আবারো ক্ষীপ্ত হলেন মুশফিক। বলেন, ‘যদি আমাদের বোলিং লাইনআপটা দেখেন, তারা ম্যাচও খেলেছে কম। কিন্তু এই অজুহাত আর কত দিন দেব? তারা যদি ভালো না-ই খেলতে পারে, ৫-১০ বছরে নামের পাশে ৫-১০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকবে। যদি কেউ ভালো না করে, আমাদের বিকল্প দেখতে হবে। উন্নতিটা নিজেকেই করতে হবে। আপনাকে বারবার কেউ শিখিয়ে দেবে না। গত পাঁচ বছরে ব্যাটসম্যানরা নিজেরা যে উন্নতি করেছে, সেটা বোলাররা করতে পারেনি। দুর্বল বোলিং নিয়ে সব সময়ই ব্যাটিং ইউনিটের ওপর ভরসা করতে পারেন না। নিজের উন্নতির জন্য কোচেরও দরকার নেই। বলছি না দুই দিকে বল সুইং করতে হবে। অন্তত জায়গায় তো বোলিং করতে পারেন। বোলিং ইউনিটের শেখার অনেক কিছু আছে। নিজেদের উদ্যোগটা আগে নিতে হবে। আকুতিটা থাকতে হবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯৬/৩ ডি.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ২৪৭/৬ ডি.
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩২.৪ ওভারে ৯০ (তামিম ০, ইমরুল ৩২, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৬, মাহমুদউল্লাহ ৯, লিটন ৪, সাব্বির ৪, মিরাজ ১৫*, তাসকিন ৪, শফিউল ২, মুস্তাফিজ ১; মর্কেল ২/১৯, রাবাদা ৩/৩৩, অলিভিয়ের ০/১২, মহারাজ ৪/২৫, ফেলুকওয়ায়ো ০/০)
ফলাফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৩ রানে জয়ী
সিরিজ: দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ডিন এলগার।
ডব্লিউএন