ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিশ্বের অদ্ভূত যত্ত সব প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার

প্রতিযোগিতা মানেই উচ্ছাস, উন্মাদনা। সৃষ্টির উষালগ্ন থেকেই বিশ্বের দেশে দেশে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এমন কিছু প্রতিযোগিতা আছে যা শুধু বিনোদনই নয়, বরং বিভিন্ন সমাজ সভ্যতার চলও বলা চলে। এগুলো যে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতেই হয়ে থাকে এমন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মত আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার ঐতিহ্যও এগুলো। কঠিন এসব প্রতিযোগিতায় জয়ীরা পান আকর্ষণীয় সব উপহার। যেমন-বউদৌড় প্রতিযোগিতায় জয়ী পান বউয়ের ওজনের পাঁচগুন বিয়ার ও নগদ অর্থ। এমন অদ্ভূত পাঁচ প্রতিযোগিতা নিয়ে এই আয়োজন।

বউ কাধে নিয়ে দৌড়

প্রতিযোগিতার নাম ‘স্পোর্ট অব ওয়াইফ ক্যারিং চ্যাম্পিয়নশিপ’। ১৯৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মাইনে রাজ্যের অক্সফোর্ড কাউন্টিতে এ প্রতিযোগিতা শুরু। এ খেলার ধরন হচ্ছে-আস্ত বউ ঘাড়ে নিয়ে স্বামীকে দৌড়াতে হয়। পাড়ি দিতে হয় কঠিন কঠিন বাধা, যেমন বালি ও কাদার ফাঁদ ইত্যাদি। এতে ২১ বছর বয়সোর্ধ অবিবাহিতরাও অংশ নিতে পারেন। বিজয়ী জুটির জন্য রয়েছে আকর্ষনীয় উপহার। বউয়ের ওজনের পাঁচগুণ পরিমাণের বিয়ার এবং নগদ অর্থ উপহার।

মরিচ খাওয়া

তরকারিতে ঝাল বেশি হলে চোখের পানি নাকের পানি একাকার হয়ে যায়। মুখে লাগা ঝালের তেজ কমাতে গ্লাসের পর গ্লাস পানি খান। কিন্তু চীনে অনুষ্ঠিত হয় এই ঝাল খাওয়ারই প্রতিযোগিতা। একের পর এক মুখে পুরছেন লাল টকটকে কাঁচামরিচ। মসলাদার খাবারের জন্য প্রসিদ্ধ হুনান প্রদেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।


মুরগি দৌড়
ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারে মুরগির দৌড় প্রতিযোগিতার ঐতিহ্য প্রায় ১০০ বছরের। এ প্রতিযোগিতায় প্রশিক্ষিত মুরগিকে ২০ গজ দৌড়ে পার হতে হয়। ২০১৭ সালের এ প্রতিযোগিতায় ৯ বছর বয়সী স্কুলছাত্র জ্যাক অ্যালস্পের মুরগি বিজয়ী হয়েছে। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের প্রত্যেকটি ইভেন্টেও তার মুরগি জিতেছিল।


শিশুর কান্না প্রতিযোগিতা

জাপানে চার শতাব্দী ধরে শিশুদের কান্না প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। এই খেলার নাম ‘সুমো’। মাত্র হাঁটতে শিখেছে এমন শিশুদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই সুমো প্রতিযোগিতা শিশুদের সুস্থতা এনে দিতে পারে। দুজন পূর্ণবয়স্ক সুমো কুস্তিগির মুখোমুখি দুটি শিশুকে তুলে ধরেন। শিশুদের পরনেও সুমো খেলার খুদে সাজপোশাক থাকে। এ সময় তারা চেঁচিয়ে কাঁদে। বিজয়ী শিশুর মাথায় পরিয়ে দেয়া হয় মুকুট।


ডিম ছোড়া

ডিম ছোড়া শুধু কি ক্ষোভ মেটানোর মাধ্যম? ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারে গেলে এ ধারণা বদলে যাবে। এখানে ডিম ছোড়া একটা বিনোদন। ওয়ার্ল্ড এগ থ্রোয়িং ফেডারেশন নামে একটি সংস্থা ১২ বছর ধরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ানো একজনকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়তে হয়। যিনি নিখুঁতভাবে ডিম মুখে ছুড়তে পারেন তিনিই চ্যাম্পিয়ন।

//এআর