ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

জার্মানিতে পানির নিচের সেই গুহার রহস্য ভেদ

প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

জার্মানিতে স্বচ্ছ নীলাভ পানির নিচে লুকিয়ে থাকা  রহস্যময় গুহার রহস্য ভেদের লক্ষ্যে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ ব্লাউটফ পাতালপুরির একের পর এক না দেখা অংশ খুলে যাচ্ছে তাঁদের চোখের সামনে ৷ কিন্তু সেখানে আরও রহস্য লুকিয়ে আছে৷

পাতালপুরিতে প্রবেশের গর্ত খোঁড়া হয়ে গেছে ৷ কিন্তু সত্যি কি গুহার ছাদ ভেদ করা গেছে? হাতেনাতে পরখ করে নিশ্চিত হতে হবে ৷ জার্মানীর বিজ্ঞানী আন্দ্রেয়াস ক্যুশা বলেন, আজ স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে৷ আমরা ‘স্টেয়ারওয়ে টু হেভেন` গুহার মাঝে বেরিয়েছি, পরিকল্পনা মতো করিডোরের উচ্চতম অংশে৷

অবশেষে অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও গুহায় প্রবেশ করে পাথর পরীক্ষা ও পরিমাপ করতে পারেন ৷ লেজারের মাধ্যমে গোটা গুহা প্রণালী স্ক্যান করা হচ্ছে৷ ফলে জানা গেল, তার শাখা-প্রশাখা ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ৷ বিজ্ঞানীরা পাতাল নদীতে ফ্লুরোসেন্ট রং ঢেলেছেন ৷ এর মাধ্যমে তাঁরা নদীর প্রবাহ ও কোথায় তা ভূপৃষ্ঠে উঠে আসছে, তা জানতে পারবেন৷

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষগুলি গুহা প্রণালীর আরও গভীরে প্রবেশ করছেন৷ এর আগে সেখানে কোনো মানুষ পা রাখেনি৷ এই গুহার বয়স কত? ঠিক কবে এর সৃষ্টি হয়েছিল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে৷ হয়ত কখনো সেখান থেকে নির্গমনের পথও খুঁজে পাওয়া যাবে৷ আচমকা পথ আরও সরু হয়ে গেল৷ মনে হয় আর এগোনোর উপায় নেই৷ ইয়খেন মালমান বলেন, কাদার গর্ত নীচে নেমে গেছে, মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু একটা খোলা অংশ আছে ৷ মনে হয় সরু অংশ দিয়ে গলে যেতে পারবো৷

মাটির গভীরে আটকে পড়ার আশঙ্কা দুর্বলচিত্ত মানুষদের জন্য নয়৷ গবেষকরা সরু অংশ দিয়ে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৷ জাদুময় এক দৃশ্য সেই পরিশ্রম সার্থক করে দিলো৷ ধাতু জমে অপরূপ সব ভাস্কর্য সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মানিতে এর তুলনা পাওয়া ভার। বিস্ময়ে ভরা এই জগত৷ গবেষকরা নিশ্চিত যে, এটা একটা সূচনা মাত্র৷ আন্দ্রেয়াস ক্যুশা বলেন, আরও নতুন গুহার প্রবেশদ্বার ও পথ আবিষ্কার এবং পরিমাপ করা আমাদের লক্ষ্য৷ এই সব গুহার সৌন্দর্য আমরা বাইরের জগতে নিয়ে আসতে চাই৷ অবশ্যই নতুন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করতে চাই৷

ব্লাউটফ জলাধারে যে আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এম/এআর