শুরু হলো তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো- ২০১৭’
প্রকাশিত : ১০:৩৯ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫৪ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার
টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পানি ও ব্যবহৃত পানির ওপর বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি উপস্থাপনের জন্য রাজধানীতে শুরু হয়েছে “বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো-২০১৭।” আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ এক্সপোটির উদ্বোধন করা হয়। তিনদিনের এ এক্সপোটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পানি বিষয়ক এক্সপো।
ওয়াটার টুডে প্রাইভেট লিমিটেড ও ইথ্রি সলিউশনের যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. এম এইচ মিল্লাত। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. ইমতিয়াজ হাশমি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েটের) পানি সম্পদ বিভাগের সভাপতি ড. কে আজহারুল হকসহ প্রর্দশনীতে অংশ নেওয়া পানি সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
সংসদ সদস্য ড. এম এইচ মিল্লাত বলেন, দেশে কয়েক হাজার শিল্প কারখানা আছে যারা পরিবেশ আইনের নিয়মগুলো মেনে চলে না। আমরা সেইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখছি। শিল্পকারখানাগুলোতে বাধ্যতামূলক এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) চালু করায় দেশে পানি দূষণের হার ব্যাপক হারে কমেছে। সকল শিল্প কারাখানা ওটিপি চালু করেছে কিনা সেটা মনিটর করছে বর্তমান সরকার।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার মো. ইমতিয়াজ হাশমি বলেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য পানি ব্যবস্থাপনা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়ের সাথে সাথে আমাদের দেশে ইটিপি আরো বেশি উন্নত হচ্ছে। যদিও এর সমাধান অনেকটা চ্যালেঞ্জিং তারপরও সমাধান সম্ভব। আমাদের দেশের মত অন্যান্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও শহর এবং গ্রামাঞ্চলে এ সমস্যা বিদ্যমান। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে সেটা অনেকাংশে কমে আসছে।
বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো ২০১৭’র প্রশংসা করে তিনি বলেন, এখানে ৫২টি’র বেশি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে যা অংশীদারদের মধ্যে আন্ত:সর্ম্পক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিস্কার পানি সরবরাহ, লবণাক্তহীন পানি, খাবার পানি, প্রক্রিয়াজাত পানি, অপচয়কৃত পানি এবং জিরো লিকুইড ডিজচার্জ ইত্যাদি বিষয় প্রর্দশনীতে প্রাধান্য পেয়েছে। পানি সংশ্লিষ্ট সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন কোম্পানিও এই প্রর্দশনীতে অংশ নিয়েছে। ভবিষ্যতের আধুনিক প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয়করণের পণ্য ও সেবা; পানি ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর সংরক্ষণ প্রদ্ধতিসহ পানি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এই প্রর্দশনীতে বিশ্বের ৭৫টির বেশি কোম্পানি, ১ হাজারের বেশি পণ্য এবং ২ হাজারের বেশি পানি বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই প্রর্দশনী চলবে। পানি ব্যবহারের টেকসই উপায় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার উপরও প্রদর্শনীতে আলোকপাত করা হয়।
আরকে/ডব্লিউএন