মোদীকে বিয়ে করতে যন্তর মন্তরে এক মাস ধর্না দিচ্ছেন যে নারী
প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১২:০৩ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার
বিয়ে করলে নরেন্দ্র মোদীকেই করবেন! এমনই পণ করে দিল্লির যন্তর মন্তরে মাসখানেক ধরে ধর্নায় বসে আছেন ওম শান্তি শর্মা।
শান্তি শর্মা (৪০) রাজস্থানের জয়পুরে থাকেন। তাঁর ২০ বছরের এক মেয়েও আছে। শান্তি স্বামী পরিত্যাক্তা। কিন্তু শান্তির মনে বিচিত্র একটা জেদ চেপে বসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই তিনি বিয়ে করতে চান।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
একটু হেসে শান্তি বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেশি দিন সেই সম্পর্ক টেকেনি। তারপর থেকে বহু বছর আমি একা।’
তা হলে তাঁর একা থাকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে বিয়ে করার যুক্তি কোথায়?
শান্তি সেই যুক্তিও দিয়েছেন বিচিত্র ভাবে। জানান, ‘তিনি এখন একা। প্রধানমন্ত্রীও একা। মোদীকে অনেক কাজ করতে হবে। আর সেই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতে চান শান্তি।
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, বিয়ের বহু প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র মোদীকে বিয়ে করবেন বলে!
মোদীর সঙ্গে দেখা করা অত সহজ নয়। এ কথা ভালো ভাবে জানেন শান্তি। সেটা স্বীকারও করেছেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী যতক্ষণ না এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন, তিনি এই ধর্না তুলবেন না।
শান্তি বলেন, ‘মানুষ যখন এই কথা শোনেন, আমাকে উপহাস করে। কিন্তু তাঁদের একটা বার্তাই দিতে চাই, শুধু ভালবাসার টানেই নয়, মোদীর প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সে কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, ছোটবেলায় তাঁকে শেখানো হয়েছে বড়দের সম্মান করো, তাঁদের কাজে সাহায্য করো। তাই মোদীকে বিয়ে করে তাঁর কাজে সাহায্য করতে চান।
শান্তির দাবি, তাঁর সম্পত্তি বা টাকা-পয়সার কোনও অভাব নেই। ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত নন।
তিনি বলেন, ‘জয়পুরে প্রচুর জায়গা-জমি রয়েছে আমার। সে সব বিক্রি করে মোদীর জন্য উপহার কেনার পরিকল্পনা করেছি। তবে মোদী যত ক্ষণ না আসবেন, যন্তর মন্তর থেকে আমি এক পা-ও নড়ব না।’
এক মাস তো প্রায় হয়ে গেল। কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন শান্তি?
তিনি জানান, যন্তর মন্তরে সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি শৌচালয় ব্যবহার করছেন। আর খাওয়া-দাওয়া করছেন কাছেরই গুরুদ্বারে।
গ্রিন ট্রাইবুনাল যে যন্তর মন্তরে ধর্না, প্রতিবাদ, বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, খবরটা কি তিনি জানেন?
কোনো ইতস্তত না করেই শান্তি জানান, গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের কথা তিনি শুনেছেন। আর সে কারণেই তো চিন্তায় রয়েছেন! যে কোনও দিন তাঁকেও এই জায়গায় থেকে তুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি এখান থেকে সরিয়ে দেয়, জানি না কী করব।’
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/এআর