হাসপাতালের উন্নয়নে তামাক পণ্যের সারচার্জ ব্যবহারের সুপারিশ
প্রকাশিত : ০৫:৫১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৮:৫৩ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার
তামাকজাত পণ্য থেকে পাওয়া সারচার্জের অর্থ সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবার মানোন্নয়নে ব্যবহারের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সরকারী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির বৈঠক থেকে এ সুপারিশ আসে বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তামাকজাত পণ্য থেকে সরকার ১ শতাংশ হারে যে সারচার্জ পেয়ে থাকে তা হাসপাতালগুলোর সেবার মানোন্নয়নে ব্যবহারের প্রসঙ্গ আসে। এছাড়া ওই সারচার্জের অর্থ তামাক চাষের বদলে সবজি চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তারের পদ রয়েছে। কিন্তু মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে পদের বিপরীতে যথেষ্ট লোকবল নেই। এসব হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক পরিবেশ মানসম্মত নয় বলে জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না।
হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে সেবার মান নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আমদানি করা ও দেশে তৈরি তামাকজাত সব ধরণের পণ্যের উপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয়। কিন্তু ওই অর্থ ব্যয়ের বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় গত তিন অর্থবছরে তামাকের সারচার্জ থেকে পাওয়া পাওয়া প্রায় ৯০০ কোটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে অলস পড়ে আছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
বাংলাদেশে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি’ ও ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ শিরোনামে দুটি নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেগুলো খসড়া অবস্থায় রয়েছে।
গত মাসে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সারচার্জ থেকে পাওয়া অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মো. রহমত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল মজিদ খান ও মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি অংশ নেন।
ডব্লিউএন