রাতে দেরিতে খেলে দেখা দেয় যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
সময়ের সঙ্গে আমাদের লাইফস্টাইল যেমন পাল্টে যাচ্ছে, তেমনি বদলে যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের খাদ্যাভ্যাসও। ঘুম থেকে উঠে ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটতে যেয়ে খাওয়ার রুটিনটাই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আপনার এই খাদ্যভাস শরীর তো আর শুনবে না। নিয়ম পাল্টালেই শরীরে পড়ে এর প্রভাব পড়ে। তাই শরীর ঠিক রাখতে যথা সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে খাবার ঠিক মতো হজম হয় না। এর ফলে অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তিকর ভাব দেখা যায়। বদহজমের কারণে আপনার আরামের ঘুম বারবার ভেঙেও যেতে পারে।
আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ইনসমনিয়ার মতো রোগ। বেড়ে যায় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা। বাড়বে রক্তচাপ। বাড়বে ওজন ও স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণও।
গবেষণায় বলা হয়, রাত জেগে খাওয়ার ফলে পরদিন সকালে ক্ষুধা থাকে না। এর ফলে বাদ পড়ে যায় ব্রেকফাস্ট। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। মনে রাখবেন, আপনার সারাদিনের খাওয়ার মধ্যে নাশতাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এর ফলে রাতে জাঙ্ক খাবার, মিষ্টি বা নোনতা খাবার বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে শরীরে ফ্যাট জমা হয়। দেখা দিতে পারে ওবেসিটির সমস্যা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় ওঠে এসেছে, বেশি রাতে খেয়ে ঘুমানোর ফলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভাল রাত ১০টার মধ্যে খেতে হবে। মনে রাখবেন, খেয়েই ঘুমানো যাবে না। খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে হবে। তাছাড়া বেশি রাতে ডিনার করলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে, ভবিষ্যতে হতে পারে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ।
গবেষকদের মতে, ভরাপেটে খাবার না খেয়ে একটু সালাড, অল্প একটু গরম দুধ খেতে পারেন। সবচেয়ে ভাল শাক-সবজি খাওয়া। রেড মিট, ভাজা, সোডা, ক্যান্ডি এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল। রাতের খাবার আর ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতেই হবে। পাশাপাশি নাশতা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মধ্যে সঠিক ব্যালান্স করতে হবে। সূত্র: জিনিউজ।
/আর/এআর