শিশুদের স্থুলতা বেড়েছে দশগুণ, সর্তকতা বাংলাদেশের জন্যও
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার
শিশু-কিশোরদের শারীরিক স্থূলতা বা ওবেসিটির হার গত চার দশকে দশগুণ বেড়েছে। বিশ্বে ১২ কোটি ৪০ লাখ ছেলে-মেয়ে এখন অতিরিক্ত মোটা। যুক্তরাজ্যের মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট দুইশ’রও বেশি দেশের ওবেসিটির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে বা বিশ্ব শারীরিক স্থূলতা দিবসে এ গবেষণা ফলাফলটি প্রকাশ করে ল্যানসেট। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি দশ জনের একজনই ওবিস বা অস্বাভাবিক স্থূল।
বাংলাদেশেও বাড়ছে স্থুল শিশুদের সংখ্যা। এতোদিন অপুষ্টির কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শিশুর সংখ্যা বিশ্বের যেসব দেশে বেশি, সেই তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। তবে এবার গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশকে হয়ত এখন অপুষ্টি ও স্থূলতার ‘দ্বৈত বোঝা’ একসঙ্গে বহন করতে হবে।
নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় স্থূলতা বাড়ছে, বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ায় তা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে বলে দেখতে পেয়েছেন গবেষকরা।
অন্যদিকে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতা বাড়ার প্রবণতা কিছুটা থিতিয়ে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ওবিস শিশুরা ভবিষ্যতে ওবিস পূর্ণবয়স্ক হিসেবে বেড়ে ওঠে। ওবেসিটি তাদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, বিশ্বে যে হারে ওবেসিটি বাড়ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ওবেসিটি জনিত অসুস্থতার চিকিৎসা ব্যয় ৯২০ বিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে।
এই গবেষণার মুখ্য গবেষক ও ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক মজিদ এজ্জাতি বলেন, যদিও ইউরোপীয় দেশগুলোতে শিশুদের ওবেসিটির হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কিন্তু বিশ্বের বহু জায়গাতেই সেটা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গেছে।
অপুষ্টি বনাম ওবেসিটি: গবেষকরা মনে করছেন, সস্তা এবং স্থূল করে দেয় এমন সহজলভ্য খাবার এবং এসব খাবারের প্রচারণা এর জন্য দায়ী। ওবেসিটি সবচাইতে বেড়ে গেছে পূর্ব এশিয়ায়।
চীন এবং ভারতে সম্প্রতি এই হার দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গবেষকরা জানান, শিগগিরই `অপুষ্টি` শব্দটির স্থান নিয়ে নেবে `ওবিস` শব্দটি। ২০০০ সাল থেকেই বিশ্বজুড়ে অপুষ্ট অর্থাৎ স্বল্প ওজনের ছেলে-মেয়ের সংখ্যা কমছে।
২০১৬ সালে অপুষ্ট মানুষের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ২০ লাখ। সংখ্যাটা অবশ্যই স্থূল শিশু-কিশোরদের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু সেদিন হয়তো আর দূরে নয়, যেদিন, স্থূলদের সংখ্যাই বেড়ে যাবে। এর ফলে আরও বাড়বে ডায়াবেটিকস এর মতো রোগ।
আর/ডব্লিউএন