কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
যুক্তরাষ্ট্র তার শক্তি প্রদর্শন করাতে কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে উড়ালো দুটি বোমারু বিমান । এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার হুমকির জবাব কীভাবে দেয়া হবে তা নিয়ে শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দুটি বি-১বি বোমারু বিমান গুয়াম ঘাঁটি থেকে উড়ে যায়।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পারমাণবিক পরীক্ষা এবং এর সূত্র ধরে ট্রাম্প ও কিম জং উনের লাগামহীন কথার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হচ্ছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় অংশ হিসেবে কোরীয় উপদ্বীপে মিত্রদের সঙ্গে যৌথ মহড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। সেই ধারাবাহিকতাতেই গুয়ামের অ্যান্ডারসন বিমান ঘাঁটি থেকে কোরীয় উপদ্বীপের উদ্দেশ্যে মার্কিন বোমারু বিমানের উড়াল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাঘাঁটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন বিমানবাহিনীর দুটি বি-১বি বোমারু বিমানের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫কে নামের দুটি যুদ্ধবিমানও ছিল।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃক বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর থেকে মার্কিন-উত্তর কোরিয়া উত্তেজনার শুরু। তারপর উত্তর কোরিয়া জাপানের ওপর দিয়ে তাদের ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার চালানো পরীক্ষাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা। তারপর দুই দেশের নেতা ট্রাম্প ও কিম জংয়ের মধ্যে হুমকি ও পাল্টা হুমকির পর উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায় -পিয়ংইয়ংয়ের হামলা ও হুমকির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে মঙ্গলবার ট্রাম্প তার প্রশাসনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ।এ বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেলের চেয়ারম্যান জোসেফ ড্যানফোর্ড জাতীয় নিরাপত্তা দলের এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করেন।
সূত্র:রয়টার্স
এম/এআর