ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

যে ক্যাফেগুলোতে খেতে কোনো টাকা লাগে না

প্রকাশিত : ০৭:০৬ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

পেট ভরে খাবার খাবেন, কোনো টাকা লাগবে না। কি ভ্রু কুচকাচ্ছেন? অবাক হওয়ার-ই কথা। ঘটনা কিন্তু সত্যি পৃথিবীতে অভিজাত বেশ কয়েকটি ক্যাফে আছে যেখানে খেলে কোনো বিল দিতে হয় না। আসুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-

১. কুঞ্জুম ট্রাভেল ক্যাফে, নয়াদিল্লি

ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এই ক্যাফে খুবই আকর্ষণীয়। ২০১০ সালে দক্ষিণ দিল্লির হাউজ খাস গ্রামে তৈরি এই ক্যাফেতে গরম এক কাপ কফির সঙ্গে মজা নিতে পারবেন বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগের। যত খুশি খাবার এবং মনের মতো পানীয় পাওয়া যাবে এখানে কোনো নির্দিষ্ট দাম ছাড়াই। দাম দেওয়াটা নির্ভর করছে আপনার ইচ্ছার উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্তদের একটু অন্য রকম আড্ডার স্বাদ দিতে এই ক্যাফের কোনো তুলনা নেই। 

২.সেবা ক্যাফে, বেঙ্গালুরু

কলকাতা, পুণে, মুম্বইয়েও রয়েছে এই ক্যাফের আউটলেট। এই ক্যাফে চালান স্বেচ্ছাসেবীরা। পাস্তা, পাওভাজির মতো হাল্কা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। এই ক্যাফের মূল বৈশিষ্ঠ্য হল, খাবার খাওয়ার পর বিল মেটাতে হয় নিজের জন্য নয়, আপনার পরে যিনি আসবেন তাঁর জন্য। মেনু কার্ডেই লেখা থাকবে, আপনি যে খাবারটি খাবেন সেটি আপনাকে উপহার দিয়েছেন আপনার আগের জন, অর্থাৎ আপনার খাবারের দাম তিনিই মিটিয়েছেন। আপনি দেবেন পরের জনের। 

৩.আন্নালক্ষ্মী, চেন্নাই

১৯৮৪ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম তৈরি হয় এই রোস্তোরাঁ। ক্রমশ এর শাখা ছড়িয়ে পড়ে ভারত, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়াতে। মন্দিরের আদলে গড়া এই রেস্তোরাঁটি প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যকে বহন করছে। সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রেস্তোরাঁয় মিলবে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় নানা পদ। 

৪.লেনটিল অ্যাস এনিথিং, মেলবোর্ন

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত এই ক্যাফেতেও খাবারের কোনও নির্দিষ্ট দাম নেই। যত খুশি খাওয়ার পরে দাম মেটানো যাবে নিজের ইচ্ছামতো। সঙ্গীতের মজা নিতে নিতে খাওয়া এবং দেদার আড্ডার স্বাদ নিতে এই ক্যাফের কোনও জুড়ি নেই। 

৫.দে কালিনারি ওয়কপ্লাটস, আমস্টারডাম

নিরামিষাশীদের জন্য তৈরি এই রেস্তোরাঁয় মিলবে পাঁচ পদের থালি। দাম দেওয়া যাবে নিজের ইচ্ছামতো। রোস্তোরাঁটিতে চাকচিক্য তুলনামূলকভাবে কম হলেও, খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। পরিবেশও অনেক আরামদায়ক।

৬.দার উইনার দিওয়ান, ভিয়েনা

ভিয়েনার জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় মিলবে সুস্বাদু পাকিস্তানি খাবার। এখানেও রয়েছে নিজের ইচ্ছামতো দাম দেওয়ার সুবিধা। তবে সেই তালিকায় রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট খাবার, যেমন পাঁচ রকম কারি, তিন রকম নিরামিষ পদ এবং দু’রকম আমিষ পদ। 

সূত্র:আনন্দবাজার

এম/এআর